ছবি : রয়টার্স

বিশ্বের বৃহত্তম চাল উৎপাদন ও রপ্তানিকারী দেশ ভারত ভাঙা চাল (খুদ) রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা ও চাল রপ্তানিতে বিধিনিষেধ জারি করেছে। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের ভোক্তা অধিকার ও খাদ্যবণ্টন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব সুধাংশু পাণ্ডে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সুধাংশু পাণ্ডে জানান, সরকারের নতুন আদেশে ভাঙা চাল (খুদ) রপ্তানি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধি করা হয়েছে। আর অন্যান্য সব ধরনের চাল রপ্তানির ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

ধানচাষ সবচেয়ে বেশি হয়— এমন চারটি রাজ্যে যথেষ্ট বৃষ্টিপাত না হওয়ায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার চালের উৎপাদন বেশ কম হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। এ কারণে অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতেই এই বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

জেষ্ঠ্য সচিব আরো জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা থাকায় লাগামহীন ভাবে বাড়ছে খুদের রপ্তানি। ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২১ লাখ ৩০ হাজার টন খুদ রপ্তানি করেছে ভারত। গত বছর এপ্রিল-আগস্টে রপ্তানি করা হয়েছিল ১৫ লাখ ৮০ হাজার টন খুদ। শতকরা হিসেবে এক বছরে রপ্তানিবৃদ্ধির হার বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৮ শতাংশ।

ভারতের রপ্তানিকারকদের সূত্রে জানা গেছে, অভ্যন্তরীন বাজারে ভূট্টার দাম বেড়ে যাওয়ায় পোলট্রিফিডে  ভুট্টার পরিবর্তে হিসেবে খুদ ব্যবহার করছেন চীনা ব্যবসায়ীরা। আর চালের তুলনায় খুদের দাম কম থাকায় আফ্রিকার বিভিন্ন দরিদ্র দেশ খাদ্যের চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে খুদের আমদানি বাড়িয়ে দিয়েছে।

‘গত চার বছর ধরে খুদের রপ্তানি বাড়ছে এবং এখন এমন অবস্থা হয়েছে যে, অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর মতো খুদও আমাদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণে নেই। এ কারণে বাধ্য হয়েই এ পদক্ষেপ নিতে হয়েছে সরকারের,’ রয়টার্সকে বলেন সুধাংশু পাণ্ডে।

‘স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত না হওয়ায় চলতি বছর বিগত বিভিন্ন বছরের চেয়ে চালের উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টন। এ কারণে রপ্তানিকারকদের নিরুৎসাহিত করতেই অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।’

আন্তর্জাতিক বাজারে চাল রপ্তানিতে শীর্ষে রয়েছে ভারত। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে ইতোমধ্যে ২ কোটি ১২ লাখ টন চাল রপ্তানি করেছে দেশটি। তার আগের বছর এই পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৭৮ লাখ টন।

এসএমডব্লিউ