পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভারতের পূর্ণাঙ্গ প্রতিনিধিত্ব করছেন এস জয়শঙ্কর। এ বছর অধিবেশনে যোগ দেননি দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  

এই অধিবেশনেরই এক অনুষ্ঠানে ২০১৬ সালে আফগানিস্তানে ভারতীয় দূতাবাসের ওপর আক্রমণের ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন জয়শঙ্কর। সে রাতের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, মধ্যরাতে আচমকাই একটি নম্বর থেকে ফোন এসেছিল আমার কাছে। কোনো কলার আইডি ছিল না। ফোনের অপর প্রান্তের কন্ঠস্বর শুনে বুঝলাম খোদ প্রধানমন্ত্রী ফোন করেছিলেন। তার প্রথম প্রশ্ন ছিল, তুমি কি জেগে আছো? তখন রাত সাড়ে ১২টা। আমি উত্তর দিলাম, হ্যাঁ স্যার জেগে আছি। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন টিভি দেখছি কি না। জানালাম, দেখছি। এরপর তিনি বলেন, আফগানিস্তানে জঙ্গিদমন অভিযান শেষ হলে তাকে যেন ব্যক্তিগতভাবে ফোন করে জানাই। আমি জানিয়েছিলাম, অভিযান অনেকক্ষণ চলবে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, হামলা যখনই শেষ হোক, আমি যেন তাকেই ব্যক্তিগতভাবে ফোন করে জানাই। 

জাতিসংঘের ওই অনুষ্ঠানে ‘মোদী@২০: ড্রিমস মিট ডেলিভারি’ শীর্ষক একটি আলোচনাসভায় নরেন্দ্র মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। জয়শঙ্কর কথায়, আমি অনেক রাষ্ট্রপ্রধানকে দেখেছি। প্রয়োজনের সময় দেশবাসীর পাশে থাকার মধ্যে যে দায়িত্ববোধ তা নরেন্দ্র মোদির মধ্যে রয়েছে। প্রয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে দেখেছি তাকে।  

আরও পড়ুন : ইমরানের কণ্ঠে মোদির প্রশংসা

কোভিড মোকাবিলায় নরেন্দ্র মোদির ভূমিকারও প্রশংসা করেন এস জয়শঙ্কর। 

জয়শঙ্কর বলেন, মিস্টার মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের আগেই তাকে পছন্দ হয়ে গিয়েছিল আমার। আমি একজন মাইক্রোম্যানেজার। এই নিয়ে আমার বিরুদ্ধে অনেকের অভিযোগও রয়েছে। এই একই লক্ষণ আমি প্রধানমন্ত্রীর মধ্যেও দেখেছি। গুরুত্বপূর্ণ সময় তার প্রস্তুতি প্রশংসাযোগ্য। 

এনএফ