অভিযানরত রুশ বাহিনী ও রুশভাষী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউক্রেনের চার প্রদেশ খেরসন, ঝাপোজ্জিয়া, দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এই রুশ আগ্রাসনের তীব্র বিরোধিতা করেছে। কিন্তু জাতিসংঘে এখনও ভারত রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেয়নি; যা নিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে অস্বস্তিতে পড়েছে নয়াদিল্লি। 

কিছু দিন আগে মস্কো দাবি করেছিল, খেরসন, ঝাপোজ্জিয়া, দোনেৎস্ক ও লুহানস্কে গণভোটে রাশিয়ার জয় হয়েছে। জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো মস্কোর এই দাবির বিরোধিতা করেছিল। এই গণভোটকে তারা ভুয়া আখ্যা দিয়েছিল, কিন্তু বরাবরের মতো ভারত নীরব থেকেছে। 

এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র এবং আলবেনিয়ার উত্থাপিত একটি প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘে ভারতের প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ বলেন, ইউক্রেনের ঘটনাপ্রবাহ সম্প্রতি যে দিকে মোড় নিয়েছে, ভারত তাতে গভীর ভাবে চিন্তিত। ভারত বরাবর শান্তি ও সম্প্রীতির পক্ষে রয়েছে। 

তবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবে ভোট দেয়নি ভারত। ভারত ছাড়াও ওই প্রস্তাবটিতে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে চীন, ব্রাজিল এবং গাবন। মোট ১০টি দেশ রাশিয়াবিরোধী প্রস্তাবে ভোট দিয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বিশেষ ক্ষমতা বা ভেটো দিয়েছে মস্কো। 

শুক্রবার বিবিসির একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, মস্কোয় পুতিন জানিয়েছেন, খেরসন, ঝাপোজ্জিয়া, দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক— এই চার অঞ্চলের বাসিন্দারা এখন থেকে রাশিয়ার নাগরিক। তিনি বলেন, মানুষ নিজেদের পছন্দের কথা জানিয়েছে। এটা লাখো মানুষের ইচ্ছা। ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের রাশিয়ার প্রতি ভালোবাসা রয়েছে। আর এই সংযুক্তিকরণ ‘স্থায়ী’ বলেও জানিয়েছেন তিনি। রাশিয়ার এই পদক্ষেপ চিন্তায় ফেলেছে ভারতকে।
 
এনএফ