দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রথম দেশ হিসেবে মোবাইল প্রযুক্তির পঞ্চম প্রজন্ম বা ৫ জি যুগে প্রবেশ করেছে ভারত। শনিবার রাজধানী দিল্লির প্রগতি ময়দানে এক আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনে এই মোবাইল পরিষেবা উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

ভারতের টেলিযোগাযোগ দপ্তরের (ডিওটি) একটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে রাজধানীতে এবং আগামী ২৪ অক্টোবর দীপাবলী উৎসবের পর মুম্বাই, চেন্নাইসহ ভারতের ১৩টি শহরে চালু হবে এই পরিষেবা। আগামী দু’বছরের মধ্যে পুরো ভারত ফাইভ জি নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে আশা করছে কেন্দ্রীয় সরকার।

দিল্লির প্রগতি ময়দানে শুরু হয়েছে ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস। আজ শনিবার থেকে আগামী ৪ অক্টোবর (মঙ্গলবার) পর্যন্ত চলবে এই আয়োজন। ১ থেকে ৪ অক্টোবর আয়োজিত হবে ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস।

ভারতের ধনকুবের মুকেশ আম্বানির মালিকানাধীন সিমকার্ড প্রস্তুতকারী কোম্পানি রিলায়েন্স জিয়ো, সুনীল ভারতী মিত্তালের ভারতী এয়ারটেল, কুমার মঙ্গলম বিড়লার ভোডাফোন আইডিয়াসহ দেশটির সব সিমকার্ড প্রস্তুতকারী কোম্পানি অংশ নিয়েছে সেই কংগ্রেস বা মেলায়।

শনিবার ফাইভ জি পরিষেবা উদ্বোধনের পর মেলায় বিভিন্ন কোম্পানির স্টল পরিদর্শন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ভারতের টেলিকম বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভারতের জন্য ব্যাপক লাভজনক হবে এই ফাইভ জি প্রযুক্তি এবং ২০২৩ থেকে ২০৪০ সালের মধ্যে কেবল এই খাত থেকেই ভারতের আয় হবে অন্তত ৫০ কোটি ডলার।

ফাইভ জি স্পেকট্রামের সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পেয়েছে মুকেশ আম্বানির প্রতিষ্ঠান রিল্যায়্যান্স জিয়ো। ফাইভ-জি স্পেকট্রামের ৮৮ হাজার ৭৮ কোটি টাকার বরাদ্দ পেয়েছে এই কোম্পানি। মোট ১০টি ব্যান্ডের ৭২ হাজার ৯৮ মেগাহার্টজের স্পেকট্রাম নিলামে তোলা হয়েছিল। এর মধ্যে ৭১ শতাংশ বিক্রি হয়েছে প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকায়।

ভারতের টেলিকম কোম্পানিগুলোর আশা, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশটির এক তৃতীয়াংশ মোবাইলে চালু হয়ে যাবে ফাইভ-জি পরিষেবা।

ফাইভ-জি পরিষেবায় ইন্টারনেটের গতি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। ফলে যে কোনও বড় ফাইল, সিনেমা কিংবা গান ডাউনলোড হবে কয়েক সেকেন্ডেই। ই-হেলথ, মেটাভার্সের দিক থেকেও অনেক এগিয়ে থাকবেন ফাইভ-জি ব্যবহারকারীরা।

সূত্র: এনডিটিভি।

এসএমডব্লিউ