যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের নতুন প্রধান আলেজান্দ্রো মায়োর্কাস বলেছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন অভিবাসন ব্যবস্থা ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছেন। স্থানীয় সময় সোমবার (১ মার্চ) এই অভিযোগ করেন তিনি। এছাড়া অভিবাসন ব্যবস্থার এই ক্ষত সারিয়ে উঠতে সময় লাগবে বলেও মন্তব্য করেন মায়োর্কাস।

যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন প্রত্যাশীদের আসার ব্যাপারে নিয়মকানুন কঠোর করাসহ ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করেছিলেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কর্মজীবীদের রক্ষার অজুহাতে মেধার ভিত্তিতে অভিবাসন প্রক্রিয়া শুরুর কথাও বলেছিলেন তিনি।

সোমবার হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে মায়োর্কাস বলেন, ‘আগের প্রশাসনের নিষ্ঠুর নীতি থেকে বেরিয়ে একটি সুশৃঙ্খল, মানবিক এবং নিরাপদ অভিবাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। এটা কঠিন কাজ এবং শেষ করতে সময় লাগবে। কিন্তু এটা নিশ্চিত করতে পারবো যে, কাজটি আমরা শেষ করতে পারবো।’

আগের প্রশাসনের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া অভিবাসন নীতির কারণেই সময় লাগছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তার মতে, ‘(ট্রাম্প প্রশাসনের প্রণীত) অভিবাসন নীতি কেবল একদিনে বা কয়েক সপ্তাহে গড়ে তোলা হয়নি। মোট কথা, আগের প্রশাসন আমাদের অভিবাসন ব্যবস্থাপনা ছিন্নভিন্ন করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘২৭ দিন আগে দায়িত্ব নেওয়ার পর দেখলাম- কয়েক বছর আগে (অভিবাসনের ব্যাপারে) কংগ্রেসে পাস হওয়া মানবিক আইনগুলো বাস্তবায়ন বা পরিচালনার মতো যথেষ্ট জনবল বা যন্ত্রপাতি আমাদের হাতে নেই। এমনকি এসব আইন তদারিকর মতো যথেষ্ট নীতি, দক্ষ ব্যক্তি বা প্রশিক্ষণও আমাদের নেই। স্পষ্টভাবে বললে, পুরো ব্যবস্থাটাই খেয়ে ফেলা হয়েছে।’

আর তাই পুরো ব্যবস্থাটি আবারও ঢেলে সাজাতে সময় লাগবে বলে জানান মায়োর্কাস।

এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ট্রাম্প প্রশাসনের জারি করা অভিবাসন নিষেধাজ্ঞা বাতিল করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। করোনা মহামারিতে মার্কিন নাগরিকদের জন্য কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার অজুহাতে ট্রাম্প গত বছর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন।

ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা বাতিলের পর এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানায়, ট্রাম্পের এই নিষেধাজ্ঞা অনেক পরিবারকে পৃথক করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থকে এগিয়ে নেওয়ার বিরোধী। নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের কিছু সদস্য এবং আইনত ভাবে স্থায়ী বাসিন্দাদের সঙ্গে তাদের পরিবারগুলোর সাক্ষাৎ বিরত রেখেছে এই নিষেধাজ্ঞা।

উল্লেখ্য, গত বছরের এপ্রিল ও জুনে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন। যার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল গত ৩১ ডিসেম্বর। কিন্তু ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার কয়েকদিন আগে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দেন ট্রাম্প। তবে শুরু থেকেই এর সমালোচনা করে আসছিলেন জো বাইডেন।

সূত্র: এনডিটিভি

টিএম