দেড় হাজার থেকে দুই হাজার ইউরোতে (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ লাখ টাকা) বিক্রির আশায় নিলামে তোলা হয়েছিল একটি চাইনিজ ফুলদানি। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে শেষ পর্যন্ত নিলামে এর দাম উঠেছে প্রায় ৮৮ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৯২ কোটি টাকার বেশি।  

নীল-সাদা রঙের ফুলদানিটি ফ্রান্সে নিলামে তোলে নিলাম সংস্থা ‘ওজেনাট অকশন হাউস।’ 

ওজেনাট অকশন হাউসে কর্ণধার জ্যাঁ পিয়ের ওজেনাট সিএনএনকে জানিয়েছেন, নিজের দাদির কাছ থেকে ফুলদানিটি পেয়েছিলেন এক ব্যক্তি। তিনি তাদের সাথে যোগাযোগ করে ফুলদানিটি তাদের কাছে বিক্রি করে দেন। 

জ্যাঁ পিয়ের আরও বলেন, এটা তাদের জীবন পুরোপুরি বদলে দেবে।  তিনি আরও বলেন, ওই ব্যক্তির দাদির কাছে ফুলদানিটি ৩০ বছর ছিল। নিলামে তোলার আগে ফুলদানিটি যখন প্রদর্শনীতে ছিল তখনই অনেকে এর বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন।   

আরও পড়ুন : মশা কামড়াবে আর শরীরে ঢুকবে ম্যালেরিয়ার টিকা, খানিক সফল বিজ্ঞানীরা

শুরুতে ৩০০ থেকে ৪০০ জন ফুলদানিটির বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। তবে নিলামে মাত্র ৩০ জনকেই অংশ নিতে দেওয়া হয়েছিল। নিলামে যাদের অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় তাদের প্রত্যেককেই কিছু অর্থ আগে ডিপোজিট করতে হয়।  

নিলামে অংশ নেওয়া ৩০ জনের মধ্যে ১০ জনের কোনো দাম বলার আগেই এর দাম ৫০ লাখ ইউরো ছাড়িয়ে যায়।  

ওজেনাট অকশন হাউস থেকে এর আগে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়েছিল নেপোলিয়নের ব্যবহৃত একটি তলোয়ার। ওই তলোয়ারটি বিক্রি হয়েছিল ৬৪ লাখ মার্কিন ডলারে।   

আরও পড়ুন : এক বোতল পানির দাম ৩৯ লাখ!

তবে এই ফুলদানিটির দাম ৮৮ লাখ মার্কিন ডলারে উঠতে পারে বলে কোনোভাবেই চিন্তা করেননি তারা। জ্যাঁ পিয়ের বলছেন, কখনও কখনও এমন হয় যে নিলামে যারা অংশ নেন তাদের দু’তিনজন ভুল করে কোনো কিছুকে অতি মূল্যায়িত করে ফেলেন। তাই বলে ৩০০ জনের এক সাথে ভুল হওয়ার কথা না। 

তিনি আরও বলেন, এখানে আসলে বাজারের আসল চিত্রটাই এসেছে। এখন আমার সত্যিই বিশ্বাস হচ্ছে ফুলদানিটি অষ্টাদশ শতাব্দীর। ফুলদানিটি এখন হয়তো কোনো জাদুঘরে প্রদর্শনীর জন্য রাখা হবে, তবে আমি নিশ্চিত না। 

সূত্র : সিএনএন। 

এনএফ