সন্ত্রাসবাদের জন্য অর্থ জোগানদাতাদের ওপর নজর রাখা বৈশ্বিক নজরদারি প্রতিষ্ঠান ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (এফএটিএফ) ‘ধূসর’ তালিকা থেকে পাকিস্তানের নাম যেন না সরে সেজন্য তৎপরতা দেখাচ্ছে ভারত। 

কোনো দেশ অর্থ, অর্থপাচার ও জঙ্গি অর্থায়নবিরোধী পদক্ষেপের ক্ষেত্রে মানদণ্ড মেনে না চললে তাকে ধূসর তালিকাভুক্ত করে এফএটিএফ। ২০১৮ সালে পাকিস্তানকে এফএটিএফ তাদের ‘ধূসর’ তালিকায় যোগ করে। 

তবে এফএটিএফের এবারের বৈঠকে তাদের এই তালিকা থেকে পাকিস্তানকে বাদ দেওয়া হতে পারে। কিন্তু এফএটিএফ যাতে এই সিদ্ধান্ত না নিতে পারে, সেজন্য শেষ চেষ্টা করবে ভারত। 

বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে এফএটিএফের বৈঠক বসতে যাচ্ছে। আর সেখানে পাকিস্তানের জন্য ভালো খবর আসার আগে দেশটির পরিকাঠামো এবং তার থেকে নিরন্তর আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস পাচার সংক্রান্ত প্রমাণ এফএটিএফে পেশ করবে নয়াদিল্লি। 

এফএটিএফের আগের বৈঠকটি হয়েছিল জুন মাসে। তখন বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, পাকিস্তান সন্ত্রাসদমনে দু’টি কর্মসূচি সম্পূর্ণ রূপায়ণ করেছে, যার মধ্যে ৩৪টি বিষয় রয়েছে। এরপর ২৯ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর এফএটিএফের ১৫ সদস্যের দল পাকিস্তান সফর করে। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত হবে প্যারিসের বৈঠকে। রিপোর্ট পাকিস্তানের জন্য স্বস্তিজনক বলেই মনে করা হচ্ছে। 

ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি বলছেন, বিশ্বে সন্ত্রাসবাদের মূল কেন্দ্র পাকিস্তান। এখনও তারা ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাস ছড়ানোর মূল উৎস। 

২০১৮ সালে ধূসর তালিকাভুক্ত হওয়ার পর বহু সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে পাকিস্তান; নিষিদ্ধ গোষ্ঠী ব্যবহার করতো এমন অনেক বাড়িঘর সিলও করে দিয়েছে।  

এনএফ