আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। সেটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম দেওয়া হবে সিত্রাং। থাইল্যান্ডের দেওয়া এই নামের অর্থ ‘পাতা।’ সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পর শুক্রবার (২১ অক্টোবর) কলকাতা পৌরসভার সবগুলো বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। রাজ্যের উপকূলবর্তী পৌরসভাগুলোকে নিয়েও এ দিন বৈঠক হয়।

সেখান থেকে বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছেন মেয়র। বিপজ্জনক বাড়ির কাছে মাইকিং করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলকাতার বিপজ্জনক বাড়িগুলোকে ফাঁকা করে বাসিন্দাদের কমিউনিটি হলে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। আলো ও বিদ্যুৎ বিভাগকে সিইএসসি’র সঙ্গে যৌথভাবে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন : মঙ্গলবারের মধ্যে আঘাত হানবে সিত্রাং

মেয়র জানান, সব পাম্পিং স্টেশন খোলা থাকবে। যেসব জায়গায় পানি জমে, সেসব জায়গায় পোর্টেবল পাম্প রাখা হবে। যেসব পাম্পিং স্টেশনে পাম্প বন্ধ রয়েছে, সেগুলো সব আগেভাগেই চালিয়ে দেখে নিতে হবে।

কলকাতায় বড় বিলবোর্ড খুলে রাখতে বলা হয়েছে। আগামী সোমবার ও মঙ্গলবার পৌরকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হতে পারে। কলকাতায় মোট ২৮০টি পাম্প চালানো হবে। পোর্টেবল পাম্প তৈরি থাকবে আরও ৪৩৯টি।

বসিরহাট, কাঁথি, দিঘা, হলদিয়া, ডায়মন্ড হারবার, জয়নগর ও টাকি পৌরসভার প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করেন ফিরহাদ হাকিম। উপকূলের পৌরসভাগুলোর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন রাজ্যের পৌর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

ফিরহাদ জানান, দুই ২৪ পরগনায় ঘূর্ণিঝড়ের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে পারে। প্রভাব পড়তে পারে পূর্ব মেদিনীপুরেও।

এসএসএইচ