ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসনের রাজধানী খেরসন শহর থেকে সরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে রাশিয়া। খেরসনে রাশিয়ার নিয়োগকৃত কর্মকর্তা কিরিল স্রেমোসোভ বৃহস্পতিবার রুশপন্থি একটি অনলাইন পোর্টালকে জানিয়েছেন, খেরসন শহরে থাকা সেনাদের সরিয়ে নেওয়া হবে।

শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।

তবে রুশ সেনাদের খেরসন শহর ছাড়ার খবরটিকে বেশ সতর্কতার সঙ্গে নিচ্ছে ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলো। কিয়েভের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাশিয়া হয়ত ইউক্রেনের সেনাদের ফাঁদে ফেলতে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। রুশ সেনাদের খেরসন শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার ঘোষণা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তারা।

ইউক্রেনের সন্দেহ আরও বেড়েছে কারণ খেরসন শহরের প্রশাসনিক ভবনে রাশিয়ার পতাকা আর উড়ানো হচ্ছে না। তাদের ধারণা, রাশিয়া এমন একটি ধারণা তৈরি করতে চাচ্ছে যে তাদের সেনারা খেরসন শহর ছেড়ে চলে গেছে। এখন ইউক্রেনের সেনারা সেখানে প্রবেশ করতে পারবে। কিন্তু আসলে রুশ সেনারা ভেতরে ভেতরে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এ ব্যাপারে ইউক্রেনের সাউদার্ন মিলিটারি কমান্ডের মুখপাত্র নাতালিয়া হিউমেনিউক বলেছেন, ‘এটি একটি ফাঁদ হতে পারে। নতুন করে উস্কানি তৈরির কৌশল হতে পারে এটি। তারা (রুশ সেনারা) এমন একটি ধারণা তৈরি করতে চায় যে, এই অঞ্চল পরিত্যক্ত এবং এখানে প্রবেশ করা নিরাপদ, কিন্তু তারা আসলে শহুরে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে।’

এদিকে ইউক্রেনে কথিত বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পরপরই বিনা রক্তপাতে পুরো খেরসন দখল করেছিল রুশ সেনারা। কিন্তু এখন খেরসন পুনর্দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা।

ইউক্রেনের সেনাদের পাল্টা আক্রমণের কারণেই খেরসন শহর ছাড়ার পরিকল্পনা করছে মস্কো বাহিনী।

খেরসন শহরটি অবস্থিত দিনিপ্রো নদীর পাশে। এখন রুশ সেনারা নদীর পশ্চিম তীর থেকে সরে এসে নদীর পূর্ব দিকে চলে যাচ্ছে। সেনাদের সঙ্গে সেখানে থাকা বেসামরিকদের নদীর একপার থেকে অন্যপারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

সূত্র: রয়টার্স

এমটিআই