পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ (ফাইল ছবি)

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর প্রধান নওয়াজ শরিফ দেশটিতে ফিরছেন। পিটিআই প্রধান ইমরান খানকে টক্কর এবং পরবর্তী নির্বাচনে দলকে নেতৃত্ব দিতে ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তানে ফিরবেন তিনি।

এদিকে দেশে ফেরা উপলক্ষে ইতোমধ্যে নওয়াজকে কূটনৈতিক পাসপোর্ট দিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন শেহবাজ শরিফের সরকার। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে রোববার (১৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) সুপ্রিমো নওয়াজ শরিফ যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে তার স্বেচ্ছা-নির্বাসন শেষ করতে পারেন এবং আগামী সাধারণ নির্বাচনে নিজের দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ডিসেম্বরে পাকিস্তানে ফিরে আসতে পারেন বলে শনিবার দেশটির একটি মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে।

এর আগে গত শুক্রবার জানা যায়, ৭২ বছর বয়সী তিনবারের সাবেক এই পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীকে পিএমএল-এন পার্টির নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসলামাবাদ সরকার কূটনৈতিক পাসপোর্ট দিয়েছে।

পিটিআই বলছে, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত পিএমএল-এন পার্টির অভ্যন্তরীণ এক ব্যক্তি আত্মবিশ্বাস নিয়ে জানিয়েছে, স্বেচ্ছায় নির্বাসনে থাকার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ অবশেষে ডিসেম্বরে পাকিস্তানে ফিরে আসবেন। তবে তিনি এটিও বলেছেন, নওয়াজের দীর্ঘ প্রত্যাশিত এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ইমরান খানের দাবি অনুযায়ী আগাম নির্বাচনের ইস্যুতে সরকারের রাজি হওয়ার কোনো ইঙ্গিত নয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিএমএল-এন পার্টির একটি সূত্র পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে জানিয়েছে, কেবল নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর জন্য নির্বাচনের কাছাকাছি সময়ে নওয়াজ শরিফ পাকিস্তানে ফিরে আসবেন বলে যে কথা শোনা যায় সেটি গুজব এবং সত্য নয়। আর এই কারণে নওয়াজের প্রত্যাবর্তনকে কোনোভাবেই আগাম নির্বাচন নিয়ে সরকার রাজি এমন কিছু বোঝা উচিত নয়।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ ২০১৯ সাল থেকে লন্ডনে স্বেচ্ছায় নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। এর আগে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে দুর্নীতির অভিযোগে পাকিস্তানের একটি আদালতে তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

নওয়াজের দলের ওই সূত্রটি জানিয়েছে, ‘(ইমরানের দাবি অনুযায়ী) বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আগাম নির্বাচনের বিষয়টি মেনে নেবে না, যাই হোক না কেন। এমনকি পিএমএল-এন সরকারের পতন হলেও আমরা এই দাবি মানবো না এবং এটি চূড়ান্ত।’

তিনি অবশ্য জানিয়েছেন, নওয়াজ শরিফের প্রত্যাবর্তনের পর দেশজুড়ে গণসংযোগ অভিযানের সূচনা করা হবে। এমনকি শরিফের ফেরার পর দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দীপিত করার জন্য কর্মী সম্মেলন এবং অন্যান্য কর্মসূচিও পালন করা হবে।

তিনি বলেন, ভাসমান ভোট ফিরিয়ে আনতে দলের বাকি মেয়াদকে পুরোপুরি কাজে লাগানোর চেষ্টা করা হবে।

অবশ্য চলতি বছরের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাকিস্তানের বর্তমান জাতীয় পরিষদের মেয়াদ ২০২৩ সালের আগস্টে শেষ হবে। আর এরপরই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

টিএম