যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে সংসদের উচ্চকক্ষ সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। রোববার নেভাদা রাজ্যে ক্যাথরিন কোরেজ জয় পেলে সিনেটে তাদের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত হয়।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ডেমোক্র্যাটদের জন্য সিনেটের নিয়ন্ত্রণ কেন গুরুত্বপূর্ণ, তা এক বিশ্লেষণে তুলে ধরেছেন বিবিসির উত্তর আমেরিকা প্রতিনিধি অ্যান্থনি জুর্কার।

যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে ১০০টি আসনের মধ্যে এখন ডেমোক্র্যাটদের দখলে আছে ৫০টি। অন্যদিকে রিপাবলিকানদের দখলে আছে ৪৯ আসন। যদি রিপাবলিকানরা সিনেটের সর্বশেষ অঘোষিত আসন জর্জিয়াতেও জয় পায় তাতেও কাজ হবে না। কারণ তখন সিনেটে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের টাই-ব্রেকিং ভোটে ডেমোক্র্যাটরা বিজয়ী হবে।

সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় এখন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী দুই বছর মার্কিন আদালতে নিজের পছন্দের ব্যক্তিদের নিয়ে আসতে পারবেন এবং প্রশাসন যতটুকু বড় করার প্রয়োজন তা করতে পারবেন তিনি।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো যদি কোনো বিচারকের অবসর অথবা মৃত্যুর কারণে সুপ্রিম কোর্টের আসন শূন্য হয়; তখন রিপাবলিকানরা চাইলেও বাইডেনের পছন্দের ব্যক্তির নিয়োগ আটকে দিতে পারবেন না।

এদিকে, নেভাদায় জয় পাওয়ায় এখন জর্জিয়ার রান-অফ নির্বাচন ডেমোক্র্যাটদের জন্য আর গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, ‘যদি সিনেটে ৫১টি আসন পাওয়া যায় তাহলে সেটি ভালো হবে।’ এতে করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রাখা আরও সহজ হবে। এছাড়া ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যে আসনগুলোতে পরাজয়ের শঙ্কা ছিল সেগুলো রক্ষায় সহায়তা করবে। 

সিনেটে ডেমোক্র্যাটরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও সংসদের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে অল্প ব্যবধানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে রিপাবলিকানরা। এটি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জন্য মাথাব্যথার কারণ হবে। বাইডেন চাইলেও প্রতিনিধি পরিষদে আইনপ্রণয়ণসহ অন্যান্য কাজ করতে পারবেন না।

যদিও যুক্তরাষ্ট্রের এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফলাফলের ভবিষ্যৎ পরিণতি কী হবে তা এখনোই বলা যাচ্ছে না। তবে ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বোঝা গেছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদিও এটি কতদিন থাকবে তা নিয়েও প্রশ্ন থাকবে। অন্যদিকে নিজ দলে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের অবস্থান শক্তিশালী হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগেও যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেমন ছিল সে তুলনায় এখন পুরোপুরি ভিন্ন।

সূত্র: বিবিসি।

এমটিআই/এসএস