পাকিস্তানে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলিতে ৬ পুলিশ সদস্য নিহত
প্রতীকী ছবি
পাকিস্তানে ৬ পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নিহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে একজন কর্মকর্তা এবং পাঁচজন কনস্টেবল। গাড়ি নিয়ে রাস্তায় টহল দেওয়ার সময় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলিতে তারা প্রাণ হারান।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশে এই ঘটনা ঘটে। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এবং এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খাইবার-পাখতুনখোয়া (কেপি) প্রদেশের লাকি মারওয়াত এলাকায় অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা টহলরত পুলিশের একটি গাড়িতে হামলার পর বুধবার অন্তত ছয় পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। পুলিশের মুখপাত্রের মতে, খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের চৌকি আব্বাসি এলাকায় হামলার এই ঘটনা ঘটে এবং নিহতরা একটি পুলিশ ভ্যানে সেখানে রুটিন টহলে নিযুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৭৫ বছরে যেভাবে পঙ্গু হয়েছে পাকিস্তানের রাজনীতি
বিজ্ঞাপন
নিহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে একজন হচ্ছেন এএসআই আলম দ্বীন। এছাড়া অন্য পাঁচ কনস্টেবল হলেন: পারভেজ, মাহমুদ, দিল জান, উবায়দুল্লাহ আহমেদ এবং নওয়াজ। এই ঘটনার পর এলাকায় আরও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ পুলিশ ভ্যানে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। তিনি বলেছেন, পুলিশ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অগ্রগামী হিসাবে গর্বিত ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি আরও বলেন, মাতৃভূমির জন্য জীবন উৎসর্গকারী সন্তানদের জাতি স্যালুট জানায়। সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানের শত্রু, সমগ্র পাকিস্তান সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রাচীর হয়ে থাকবে।
শেহবাজ আরও বলেন, প্রাদেশিক সরকারের উচিত মৃতদের সম্মান ও শহীদ হিসেবে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া।
আরও পড়ুন: ক্ষমতাচ্যুতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে আর দায়ী করছেন না ইমরান খান
এদিকে খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মেহমুদ খান এই ঘটনা আমলে নিয়েছেন এবং পুলিশের আইজির কাছে প্রতিবেদন চেয়েছেন। এছাড়াও তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন।
মেহমুদ খান এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক, শহীদদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না।’
এর আগে গত মাসে খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশে হাজার হাজার মানুষ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্য প্রদর্শনে রাস্তায় নেমে আসেন। মূলত প্রদেশটির চারবাগে একটি স্কুল ভ্যান বন্দুক হামলার কবলে পড়লে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন তারা। স্কুল ভ্যানে গুলির ওই ঘটনায় চালক নিহত এবং দুই শিশু আহত হয়েছিল।
এছাড়া চলতি মাসের শুরুর দিকে, কোহাটের একটি মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় সশস্ত্র মোটরসাইকেল আরোহীদের হামলায় পাকিস্তানের কাউন্টার টেররিজম বিভাগের একজন সহকারী উপ-পরিদর্শকসহ দুই ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছিলেন।
টিএম