সৌদি আরবের উদ্যোগে চীনের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো চলমান সম্মেলনের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক এক নতুন যুগে পা রেখেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

বৃহস্পতিবার সৌদির রাজধানী রিয়াদে মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চল, লেভান্ট বা পূর্ব ভূমধ্যসাগর এবং আফ্রিকা অঞ্চলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন চীনের প্রেসিডেন্ট। সেখানে তিনি বলেন, ‘চীনের সঙ্গে উপসাগরীয় অঞ্চল ও অন্যান্য আরব রাষ্ট্রগুলোর সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই সম্মেলনটি একটি মাইলফলক। এই সম্মেলনের মাধ্যমে চীনের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের সম্পর্ক এক নতুন যুগে পা রেখেছে।’

‘আমরা মধ্যপ্রাচ্যের ব্যাপার অত্যন্ত আশাবাদী ও এশিয়ার এ অঞ্চলের সঙ্গে চীনের যে সম্পর্ক, তাকে আমরা নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই।’

তিন দিনের এক সরকারি সফরে বুধবার সৌদিতে গেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরুর পর এটি জিনপিংয়ের তৃতীয় বিদেশ সফর। সৌদিতে এটি তার দ্বিতীয় সফর। সর্বশেষ ২০১৬ সালে সৌদি গিয়েছিলেন তিনি।

বুধাবর জিনপিং রিয়াদে পৌঁছানোর পর তাকে রীতিমতো রাজকীয় সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। সৌদি আরবের ‍যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান নিজে বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে চীনের প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানান।

পরের দিন বৃহস্পতিবার চীন ও সৌদির মধ্যে ৩৪টি বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এসব চুক্তির সম্মিলিত আর্থিক মূল্য ৩ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি।

শুক্রবার মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগর ও অন্যান্য অঞ্চলভূক্ত দেশগুলোর সরকার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন শি জিনপিং। এই বৈঠকে উপস্থিতি ছিলেন কাতারের আমির, কুয়েতের যুবরাজ এবং মিসর, তিউনিশিয়া, জিবুতি, সোমালিয়া, মৌরিতানিয়া, ইরাক, মরক্কো, আলজেরিয়া, সুদান ও লেবাননের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীরা।

এছাড়া কুয়েতের যুবরাজ শেখ মেশাল আল সাবাহ, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি, ইরাকের প্রধানমন্ত্রী শিয়া আল-সুদানি, সুদানের শীর্ষ নেতা আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান এবং ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে পৃথক বৈঠকও করেছেন জিনপিং।

এসব বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের প্রযুক্তি, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন বেইজিং ও রিয়াদের সরকারি কর্মকর্তারা।

এসএমডব্লিউ