ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞায় বঞ্চিত মুসলিমদের ভিসা দেওয়ার ঘোষণা
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ১৩টি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম ও আফ্রিকান দেশের নাগরিকদের ওপর যে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন তার কারণে বঞ্চিতরা আবারও ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন বলে ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র সময় গতকাল সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস সংবাদ সম্মেলন করে বাইডেন প্রশাসনের নতুন এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বিজ্ঞাপন
ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকাকালীন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর একে ‘মুসলিম নিষেধাজ্ঞা’ নামে অভিহিত করে তখন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।
তবে নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনেই অর্থাৎ গত ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের নেওয়া বিতর্কিত এই পদক্ষেপ বাতিল করে নির্বাহী আদেশ জারি করেন। এবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে এসব দেশ থেকে ভিসার আবেদন নেওয়া শুরু করবে।
বিজ্ঞাপন
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, গত ২০ জানুয়ারির আগে যেসব আবেদন প্রত্যাখান করা হয়েছিল আবারও তারা নতুন করে আবেদন করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে তাদেরকে নতুন করে আবেদন ফি দিতে হবে।
এছাড়া গত ২০ জানুয়ারির পর যাদের আবেদন প্রত্যাখাত হয়েছে তাদের নতুন করে আবেদন কিংবা নতুন করে আবেদন ফি জমা দিতে হবে না। তারা কেবল তাদের আবেদন পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকাকালীন ডাইভার্সিটি ভিসা (ডিভি) লটারি বিজয়ীদের যেসব ভিসা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল, নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত দেশগুলোর সেসব ডিভি লটারি বিজয়ীদের ভিসাও এখন দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরর দেওয়া হিসাব অনুযায়ী ট্রাম্পের ওই মুসলিম নিষেধাজ্ঞার পর থেকে উল্লিখিত দেশগুলোর বাসিন্দাদের কাছ থেকে ৪০ হাজারের বেশি ভিসা আবেদন প্রত্যাখান করা হয়েছে।
তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত দেশগুলো হলো— ইরান, উত্তর কোরিয়া, সিরিয়া, সুদান, ইয়েমেন, কিরগজিস্তান, লিবিয়া, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, তাঞ্জানিয়া, ইরিত্রিয়া, ভেনেজুয়েলা ও মিয়ানমার।
এএস