যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা ইউক্রেনকে পরামর্শ দিচ্ছেন, আপাতত যেন রাশিয়ার সেনাবাহিনীর ওপর বড় ধরনের কোনো হামলা না চালায় তারা।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যখন ইউক্রেনে পশ্চিমা দেশগুলো আবারও পর্যাপ্ত পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাঠাতে পারবে, ইউক্রেনীয় সেনাদের ট্রেনিং শেষ হবে তখন যেন নতুন হামলা শুরু করে তারা। এ মুহূর্তে বড় হামলা চালানো থেকে দূরে থাকার জন্য বলছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে একটি সূত্র রয়টার্সকে আরও জানিয়েছে, ইউক্রেনকে আব্রাহাম ট্যাংক দেবে না যুক্তরাষ্ট্র এবং এ সিদ্ধান্তে অটল আছেন তারা। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘ইউক্রেনের যে সহায়তা প্রয়োজন তার সবই পাবে।’

সূত্রটি আরও জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এখন লক্ষ্য হলো— ইউক্রেনকে যেসব অস্ত্র দেওয়া হয়েছে সেগুলোর ওপর যেন ইউক্রেনের সেনারা ভালোভাবে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন সেটি নিশ্চিত করা। কারণ যদি ঠিকমতো প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা অস্ত্রগুলো চালাতে পারে তাহলে সর্বোচ্চ ফলাফল পাওয়া যাবে।

গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কয়েকশ সাজোয়া যান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া কয়েকদিন আগে কিয়েভ সফরে গিয়েছিলেন মার্কিন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন্ডি শেরম্যান এবং হোয়াইট হাউজের উপদেষ্টা জন ফিনার। তারা ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

রয়টার্স জানিয়েছে, বর্তমানে ডনবাসের বাখমুত শহরটির কথা বলছেন মার্কিনিরা। তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেনের সেনারা এ শহরের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছেন। কিন্তু তাও রাশিয়া যেকোনো ভাবে এটির দখল নিয়ে নেবে। তাই এখন তাদের একটি পরিকল্পনা হলো— বাখমুত রক্ষার লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য স্থানে অবস্থানরত রুশ সেনাদের তারা কিভাবে প্রতিরোধ করতে পারবে সেই প্রস্তুতি নেওয়া।

এছাড়া রাশিয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গোলা ছোঁড়ার বিষয়টিও বাদ দেওয়ার কথা বলছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। কারণ তাদের ধারণা, একটা সময় ইউক্রেনের গোলা শেষ হয়ে যাবে কিন্তু রাশিয়ানদের থেকে যাবে। যার মাধ্যমে তারা সুবিধা আদায় করে নেবে।

সূত্র: রয়টার্স

এমটিআই