ব্যাপকভাবে বাড়তে থাকা চোরাচালানে লাগাম দিতে স্বর্ণের আমদানিশুল্ক কমাচ্ছে ভারত। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্বর্ণের আন্তর্জাতিক বাজারে দ্বিতীয় শীর্ষ ক্রেতাদেশ ভারত। ব্যাপক চাহিদা থাকায় আগেও দেশটির বাজারে আমদানির পাশপাশি চোরাই পথেও স্বর্ণ আসত, কিন্তু করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে স্বর্ণ চোরাচালানে রীতিমতো উল্লম্ফণ ঘটেছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে— চোরা কারবারিদের দৌরাত্ম্যের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বৈধ আমদানিকারকরা।

আক্ষরিক অর্থেই গত বছরের শেষ তিন মাস লোকসান গুণতে বাধ্য হয়েছেন বৈধ আমদানিকারীরা এবং এর দায় তারা সম্পূর্ণভাবে দিয়েছেন স্বর্ণ চোরাচালন বন্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতাকে।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার বেশ ভালোভাবেই অবগত যে, বর্তমান বাজার পরিস্থিতির সাপেক্ষে ভারতে স্বর্ণের আমদানি শুল্ক খুবই উচ্চ এবং এই কারণে আমদানিকারকরা চাপের মধ্যে আছেন। এই সমস্যা সমাধানে নতুন শুল্ককাঠামো ঘোষণা করা হবে এবং শিগগিরই তা হবে।’

২০২২ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত ভারতে স্বর্ণ আমদানির শুল্ক ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ; কিন্তু ওই বছর জুলাই মাসে এই হার আরও ১২ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে দেয় সরকার। বর্তমানে দেশটিতে স্বর্ণের আমদানির শুল্কহার ১৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অপর কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে আমদানি শুল্কের হার ১২ শতাংশের কম রাখার সুপারিশ করেছি। আশা করছি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় শিগগিরই সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবে।’

‘আমাদের এমন একটি করনীতি প্রয়োজন, যা ক্রেতা, ব্যবসায়ী, আমদানিকারক এবং সরকার— সবার জন্যই লাভজনক ও আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হবে।’

এ বিষয়ে আরও বিশদ জানতে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। সেই মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘দিন দিন স্বর্ণের চোরাচালান লাগামহীনভাবে বাড়ছে। আমাদের অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’

এসএমডব্লিউ