লন্ডনে ৩৩ বছর বয়সী এক তরুণী খুনের প্রতিবাদে ও তার স্মরণ অনুষ্ঠানে হাজারো সাধারণ মানুষের জমায়েতে সামিল হয়েছিলেন ডাচেস অব কেমব্রিজ ও প্রিন্স উইলিয়ামের স্ত্রী কেট মিডলটন। আগে থেকে কোনো ঘোষণা না দিয়েই সাউথ লন্ডনের ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। 

লন্ডনের ব্রিক্সটনে থাকতেন সারাহ। সেখান থেকে একটু দূরেই ক্লাফাম কমনে শেষবার দেখা গিয়েছিল তাকে। সেখানেই আয়োজিত স্মরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন কেট। 

৩ মার্চ থেকে নিখোঁজ ছিলেন ৩৩ বছর বয়সী সারাহ এভারার্ড। সারাহকে অপহরণের পর হত্যার জন্য এক পুলিশ কর্মকর্তাকে সন্দেহ করা হচ্ছে। 

রাজ পরিবারের একটি সূত্র বলছে, কেট সারাহ ও তার পরিবারের প্রতি সম্মান দেখাতে চেয়েছিলেন। লন্ডনের রাস্তায় রাতে হাঁটতে কেমন লাগে সেটা তার মনে আছে।  আর সে কারণেই সারাহকে শ্রদ্ধা জানাতে অন্যান্য নারীদের সঙ্গে এক কাতারে দাঁড়িয়ে যান মিডলটন। 

সারাহ হত্যাকাণ্ড ইতোমধ্যে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে গোটা বিশ্বের নজরে এসেছে। এ হত্যাকাণ্ডের পর লন্ডনের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসে প্রশ্ন রেখেছেন, ক্রমাগত কেন নারীদের ওপর এসব চলছে। রাতে লন্ডনে রাস্তায় হাঁটার সময় নিজেদের ভয়ের অভিজ্ঞতার কথাও তুলে ধরেছেন অনেকে। 

গার্ডিয়ান পত্রিকায় একটি কলামে লেখা হয়েছে, ওই তরুণী নিখোঁজ হওয়ার খবর জানার পর রাতে একা হেঁটে বাড়ি ফেরা যেকোনো নারীকেই ওই একই ভয় আঁকড়ে ধরেছিল। অন্ধকার এক রাস্তায় হেঁটে যাওয়া, হাতে ধরা ঘরের চাবি আর আর ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা। 

সারাহকে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে যে পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনি হলেন, কনস্টেবল ওয়েন কুজেন্স। ৪৮ বছর বয়সী ওয়েন লন্ডন পুলিশের পার্লামেন্টারি অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাটিক প্রোটেকশন কমান্ডের সদস্য। 

এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে কর্মসূচি হাতে নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের কারণে তা বাতিল করা হয়। তারপরও সেখানে বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভ থেকে কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে। 

মেট্রোপলিটন পুলিশ কমান্ডার ক্যাথরিন রোপার শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, সারাহ নিখোঁজ হওয়ার পর মানুষের মনে যে কঠিন অনুভূতি তৈরি হয়েছে তা আমি বুঝি, লন্ডনের রাস্তায় কোনো নারী যেন নিজেকে অনিরাপদ মনে না করে।  এর সঙ্গে চলমান কোভিড পরিস্থিতির কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।  

সূত্র : ফক্স নিউজ। 

এনএফ