মার্কিন গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ গত ২৫ জানুয়ারি ভারতের শীর্ষ ধনী গৌতম আদানির সামাজ্য আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে ‘কারসাজি ও প্রতারণার’ অভিযোগ তুলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর ঝড়ের কবলে পড়ে আদানি গ্রুপ। কোম্পানিটির সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে ব্যাপক দরপতন হয়। এতে অল্প সময়ের মধ্যে বিপুল সম্পত্তি হারান গৌতম আদানি। সাতদিনেরও কম সময়ে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনী থেকে নবমস্থানে নেমে গেছেন তিনি।

বর্তমানে চরম চাপ ও উৎকণ্ঠায় থাকা আদানি গ্রুপ মানুষের বিশ্বাস ফিরে পেতে রোববার (২৯ জানুয়ারি) ৪১৩ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেটিতে ‘জালিয়াতির’ অভিযোগ সম্পর্কে নিজেদের অবস্থান জানানোর চেষ্টা কছে কোম্পানিটি। তবে তা সত্ত্বেও বিনিয়োগকারীরা আস্থা ফিরে পাননি। সোমবারও (৩০ জানুয়ারি) আদানি গ্রুপের শেয়ারে দরপতন হয়েছে। ডলারের বন্ড আরও নিচে নেমেছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, শেয়ার বাজারে টানা তিন দিনের ধসে আদানি গ্রুপের মার্কেট ভেল্যু কমে গেছে ৭ হাজার ১০০ কোটি ডলার।

আদানি গ্রুপ এখন হিন্ডেনবার্গের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ এবং ‘ভারত বিরোধী’ হিসেবে অভিহিত করছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই আদানি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন বিনিয়োগকারীরা। এখন নতুন করে তাদের চিন্তার বিষয়টি সামনে এলো। এছাড়া ভারতেও এই কোম্পানির ওপর বিশ্বাস দুর্বল হয়ে যাবে।

স্যাক্সো ক্যাপিটাল মার্কেটের বিশ্লেষক চারু চানানা জানিয়েছেন, আদানি গ্রুপ ক্যালেঙ্কারিতে ভারতের বাজারের রিক্স-রিওয়ার্ড আরও খারাপের দিকে গেছে। তিনি বলেছেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিশ্বাস ভেঙে গেছে। এটি ঠিক হতে সময় লাগবে। তাই আমি এখন সতর্ক থাকব।‘

সোমবার আদানি গ্রুপের ১০টি অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের ছয়টির শেয়ার কমদামে বেঁচাকেনা হয়েছে। তবে আদানি এন্টারপ্রাইজ এবং আম্বুজা সিমেন্টের শেয়ারের দাম কিছুটা বেড়েছে।

সূত্র: ব্লুমবার্গ

এমটিআই