তুরস্কের হতায়ে প্রদেশের ধসে যাওয়া একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে দেরিয়া একদোগান নামের ২৬ বছর বয়সী এক যুবককে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে

তুরস্ক-সিরিয়ায় আঘাত হানা ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়েছে হাজার হাজার ভবন। এসব ভবনের নিচে এখনও অনেকেই আটকে আছেন। তবে তারা জীবিত নাকি মৃত সেই তথ্য উদ্ধারের আগ পর্যন্ত জানার উপায় নেই। ভূমিকম্প আঘাত হানার এক সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ায় এখন আটকে পড়া লোকজনকে জীবিত উদ্ধারের আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে। তবে এর মাঝেই অলৌকিকভাবে জীবিত উদ্ধারের ঘটনাও ঘটছে আজ।

সোমবার তুরস্কের হতায়ে প্রদেশের ধসে যাওয়া একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে দেরিয়া একদোগান নামের ২৬ বছর বয়সী এক যুবককে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা আনাদোলু বলছে, ভূমিকম্পের আঘাতে দক্ষিণাঞ্চলীয় হতায়ে প্রদেশের একটি ভবনের ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে ওই যুবককে জীবিত উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকর্মীরা। ভূমিকম্প আঘাত হানার প্রায় ১৭৭ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে, একই দিনে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় আদিয়ামান শহরের এক অ্যাপার্টমেন্টের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ৬ বছর বয়সী এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার হয়েছে। দেশটির একজন মন্ত্রী বলেছেন, ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত আদিয়ামান শহরের একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আজ ছয় বছর বয়সী এক কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ভূমিকম্প আঘাত হানার ১৭৮ ঘণ্টারও বেশি সময় পর ওই কিশোরী জীবিত উদ্ধার হয়েছে।

তুরস্কের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সিএনএন তুর্ক বলছে, মীরে নামের শিশুটির বয়স ছয় বছর। উদ্ধারকারীরা তার বড় বোনের কাছাকাছি পৌঁছেছেন। তবে এর আগে তুরস্কের পরিবহন মন্ত্রী আদিল কারাইসমাইলোগলু শিশুটির বয়স চার বছর বলে জানিয়েছিলেন।

ভূমিকম্প আঘাত হানার প্রায় ১৭৭ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প আঘাত হানার সাত দিনের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। গত সোমবার স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে প্রতিবেশী দুই দেশে। রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে উভয় দেশে এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।

এদিকে, বৈরী আবহাওয়া আর প্রতিকূল পরিস্থিতির মাঝেই সিরিয়া-তুরস্কে উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশ। তবে সময় গড়িয়ে যাওয়ার সাথে সাথে উভয় দেশে উদ্ধারের গতি ঝিমিয়ে পড়ছে। ফলে ধ্বংস হয়ে যাওয়া হাজার হাজার ভবনের নিচে আটকে পড়া মানুষকে জীবিত উদ্ধারেরও আশাও ফুরিয়ে আসছে।

সোমবার জাতিসংঘের দাতব্যবিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের আলেপ্পো শহর পরিদর্শন করেছেন। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এই নগরীর মানুষের মাঝে ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ করা এখন বিশ্বের দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

এসএস