ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়ে বিধানসভার ভোটের আগে গোমাংস খাওয়া নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। আর এই বিতর্ক শুরু হয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সভাপতির এক মন্তব্য ঘিরে।

সোমবার দেশটির ইংরেজি দৈনিক ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেঘালয় বিজেপির সভাপতি আর্নেন্ট মাওরি বলেন, ‘আমি গোমাংস খাই এবং আমি বিজেপিতে আছি। এতে কোনও সমস্যা নেই।’ তার এই মন্তব্যের পর রাজ্য বিজেপি ও বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের মাঝে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

সাক্ষাৎকারে আর্নেস্ট দাবি করেন, বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকে কোনও গির্জার ওপর হামলা হয়নি। পদ্ম-শিবিরেও গোমাংস খাওয়ার ওপর কোনও বিধিনিষেধ নেই।

তার কথায়, ‘বিজেপিতে জাতপাত, ধর্ম, খাদ্যাভ্যাসের রাজনীতি হয় না। সংঘ পরিবারের ‘ঘোষিত অবস্থান’ থেকে সরে এসে মেঘালয় বিজেপি সভাপতির এই মন্তব্য ঘিরে ইতোমধ্যেই নানা ধরনের জল্পনা শুরু হয়েছে।

আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মেঘালয়ে বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ ওই রাজ্যের ভোটারদের পাশে টানতেই রাজ্য বিজেপি সভাপতি আর্নেস্ট এমন মন্তব্য করেছেন বলে বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন।

কারণ মেঘালয়ের বিশালসংখ্যক মানুষ গোমাংস খান। তারা বিজেপির গোমাংস নিষিদ্ধ রীতির সঙ্গে ভালোভাবে পরিচিত। আর্নেস্টের মন্তব্য সেই ভাবমূর্তি ভাঙার চেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে।

এর আগে, ২০১৭ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকারের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গোমাংস ভোজের আয়োজন করেছিলেন মেঘালয়ের প্রদেশ বিজেপি নেতাদের একাংশ। ওই সময় মেঘালয় বিজেপি নেতৃত্বের অন্দরে প্রবল মতবিরোধ শুরু হয়। মেঘালয় বিজেপির নেতা তথা তৎকালীন মন্ত্রী শানবর সুল্লাই প্রকাশ্যে গোমাংস খাওয়ার পক্ষে সওয়াল করায় তাকে ভর্ৎসনা করেছিলেন বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতারা।

এসএস