প্রতীকী ছবি

বিয়ের তারিখ পাকা হয়েছে আগেই। খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা ও অতিথিদের নিমন্ত্রণের পাশাপাশি সবধরনের প্রস্তুতিও শেষ। আর তখনই ছেলেপক্ষের মন বিগড়ে গেল মনমতো যৌতুক না পেয়ে। মূলত যৌতুক হিসাবে ‘পুরোনো’ আসবাবপত্র দেওয়ার কথা শুনে বিয়ে ভেঙে দিলেন বর ও তার পরিবার।

এই ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে কনের পরিবার। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তেলেঙ্গানার হায়দ্রাবাদে। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কনের পরিবার যৌতুক হিসাবে ‘পুরোনো’ আসবাবপত্র দিয়েছে বলে জানার পরে হায়দ্রাবাদে এক ব্যক্তি তার বিয়ে বাতিল করেছে বলে সোমবার পুলিশ জানিয়েছে।

এনডিটিভি বলছে, অভিযুক্ত ওই বর পেশায় একজন বাসচালক। গত রোববার বিয়ের দিন নির্ধারিত থাকলেও যৌতুক নিয়ে মনোমালিন্যে কনের বাড়িতে বিয়ের জন্য উপস্থিত হননি তিনি। পরে কনের বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন এবং এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়।

কনের বাবা গণমাধ্যমকে জানান, তাদের (বরের) বাড়িতে যাওয়ার পর বরের বাবা তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন।

সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, মেয়ের বিয়ের জন্য পাত্রের বাড়ি থেকে যৌতুক হিসেবে টাকাপয়সা ছাড়াও বেশ কিছু আসবাবপত্র এবং অন্যান্য জিনিস দাবি করা হয়েছিল। বিয়ের আগেই তিনি তা পাঠিয়েও দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও বিয়ে করতে আসেনি বর। এরপর তিনি পাত্রের বাড়িতে গেলে সেখানে বরের বাবা তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।

কনের বাবা বলেন, ‘তারা বলছে- যে জিনিসগুলো তারা চেয়েছিল তা দেওয়া হয়নি এবং আসবাবপত্রও পুরোনো। আর তাই তারা বিয়ে করতে আসতে অস্বীকার করে। আমি বিয়ের জন্য ভোজের ব্যবস্থা করেছিলাম এবং সমস্ত আত্মীয়-স্বজন ও অতিথিদের আমন্ত্রণও জানিয়েছিলাম। কিন্তু বর তার বিয়েতে আসেনি।’

অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বলেছে, বরের পরিবার যৌতুক হিসাবে অন্যান্য আইটেমের মধ্যে আসবাবপত্র আশা করেছিল। কিন্তু কনের পরিবারের ব্যবহৃত আসবাবপত্র তাদের দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। আর তাই বরের পরিবার সেগুলো প্রত্যাখ্যান করে এবং বিয়ের দিন বর হাজির হয়নি।

পুলিশের মতে, ভারতীয় দণ্ডবিধি (আইপিসি) ও যৌতুক নিষেধাজ্ঞা আইনের প্রাসঙ্গিক ধারায় একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত চলছে।

টিএম