উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং

গোলাবারুদের গন্ধ না ছড়াতে যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কোরিয়া নীতি প্রকাশের আগমুহূর্তে উত্তর কোরীয় নেতার এই প্রভাবশালী বোন ওয়াশিংটনের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেন।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ারও কঠোর সমালোচনা করেছেন তিনি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের সিউল সফরের ঠিক আগমুহূর্তে তার এমন বক্তব্য সামনে এল।

যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য জানিয়েছে যে, তারা বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগের চেষ্টা করছে। কিন্তু কিম জং উনের প্রশাসন তাতে সাড়া দিচ্ছে না। এছাড়া দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হতে চললেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনকে এখনও স্বীকৃতি বা শুভেচ্ছা জানায়নি দেশটি।

গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া হয়েছে। তারপরেই মুখ খুলেছেন কিম ইয়ো জং। তিনি বলেছেন, ‘নতুন দায়িত্ব নেওয়া মার্কিন প্রশাসনকে আমি সাবধান করে দিচ্ছি, তারা যেন সমুদ্রপার থেকে এসে আমাদের দেশে গোলাবারুদের গন্ধ ছড়ানোর চেষ্টা না করে। যদি তারা আগামী চার বছর নিশ্চিন্তে ঘুমাতে চায়, তা হলে তারা যেন এই ধরনের কাজকর্ম থেকে বিরত থাকে।’

তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ারও কঠোর সমালোচনা করেন। তার মতে, এর (যৌথ সামরিক মহড়া) মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার আবারও ‘যুদ্ধ ও সংকট’কে বেছে নিয়েছে। প্রসঙ্গত, ওয়াশিংটন ও সিউলের যৌথ সামরিক মহড়াকে সবসময় আক্রমণের প্রস্তুতি হিসেবে বর্ণনা করে থাকে উত্তর কোরিয়া।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার একদিন আগে কিম ইয়ো জং এই কড়া বক্তব্য দিলেন। সিউল থেকে ব্লিংকেন ও লয়েড জাপানেও যাবেন।

উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ে ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ংয়ের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে টানাপোড়েন চলছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সিউলে ব্লিংকেন ও লয়েড দক্ষিণ কোরিয়ার নেতাদের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার বিষয়েও কথা বলবেন। আর সে জন্যই আগাম হুমকি দিয়ে রাখলেন কিম ইয়ো জং।

সূত্র: বিবিসি, ডয়চে ভেলে

টিএম