বাঞ্জি জাম্পিংয়ের মাধ্যমে রোমাঞ্চ উপভোগ করতে গিয়ে মরতে বসেছিলেন এক পর্যটক। তবে ভাগ্যের জোরে বেঁচে গেছেন তিনি। গত জানুয়ারিতে থাইল্যান্ডে এ ঘটনা ঘটেছে। যেখানে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন তিনি।

দূর্ঘটনাটি গত জানুয়ারিতে ঘটলেও, চলতি মার্চে ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি প্রকাশ করেছেন মাইক নামের ওই পর্যটক নিজেই।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনের সঙ্গে ওই দিনের ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন মাইক। তিনি জানিয়েছেন, ছুটি কাটাতে জানুয়ারিতে থাইল্যান্ডের পাতায়াতে গিয়েছিলেন। এরপর চাংথাই থাপরায়া সাফারি অ্যান্ড এডভেঞ্জার পার্কে গিয়েছিলেন। সেখানে ভয়ানক বাঞ্জি জাম্পিং করার কোনো উদ্দেশ্য তার ছিল না। তবে এক বন্ধুর সঙ্গে বাজি ধরে বাঞ্জি জাম্পিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন।

তিনি বলেছেন, ‘এটি সত্যিই অনেক উঁচু ছিল, তাই আমি চোখ বন্ধ করে ফেলি। ভেবেছিলাম যখন ওপরে ওঠব তখন চোখ খুলব। কিন্তু যখন আমি চোখ খুলি তখন দেখি আমার সঙ্গে লাগানো দড়ি ছিঁড়ে গেছে। আর আমি পানির মধ্যে রয়েছি।’

তবে পা দড়ি দিয়ে বাঁধা থাকলেও সাঁতার কেটে পাশের শুকনা স্থানে চলে আসতে সমর্থ হন তিনি। তবে তিনি বলেছেন, ‘যারা সাঁতার পারেন না তারা এরকম পরিস্থিতিতে পড়লে বিপদে পড়বেন।’

এছাড়া মাইক জানিয়েছেন, তার ভাগ্য ভালো ওই স্থানে পানি ছিল। পানি না থাকলে বিষয়টি অন্য কিছু হতে পারত। কিন্তু পানি থাকা সত্ত্বেও তিনি মারাত্মক জখম হয়েছেন। মাইক বলেছেন, ‘আমার মনে হয়েছে কেউ আমাকে ব্যাপকভাবে মারধর করেছে।’

এমন অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা ঘটার পর পার্ক কর্তৃপক্ষ তার বাঞ্জি জাম্পিংয়ের অর্থ ফেরত দেয় সঙ্গে আরও প্রায় ৩০০ ডলার জরিমানা দেয়। ওই অর্থ দিয়ে এক্সরেসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান তিনি।

সূত্র: সিএনএন

এমটিআই