এক বছরে ভারতসহ বিশ্বে ধনকুবেরের সংখ্যা কমেছে। ২০২২-এ ৩ হাজার ৩৮১ থেকে কমে হয়েছে ৩১১২। শতাংশের নিরিখে যা প্রায় ৮ শতাংশের মতো। হুরুন গ্লোবালের ধনীদের তালিকায় এমনটাই তথ্য উঠে এসেছে।

তালিকায় স্বাভাবিকভাবেই কেউ এগিয়েছেন আবার কেউ পিছিয়েছেন। যেমন বিশ্বের সেরা ১০ ধনকুবেরের তালিকায় ঢুকেছেন মুকেশ আম্বানি আর তালিকার বাইরে চলে গেছেন গৌতম আদানি। হুরুন গ্লোবালের ধনীদের তালিকায় মুকেশ আম্বানি নবম স্থানে রয়েছেন। অন্যদিকে গৌতম আদানি পিছিয়ে ২৩ নম্বরে চলে গেছেন। এ মুহূর্তে ধনী ভারতীয় হলেন মুকেশ আম্বানি। ৮২ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে তিনি গৌতম আদানিকে ছাড়িয়ে গেছেন।

সারা বিশ্বের ধনীদের তালিকায় তিনি রয়েছেন ৯ নম্বরে। এক্ষেত্রে তালিকায় মুকেশ আম্বানিই একমাত্র ভারতীয়।

উল্লেখ্য, এর আগে ব্লুমবার্গের ধনকুবেরের তালিকায় বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি ছিলেন গৌতম আদানি। বিশ্বে ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় গৌতম আদানি রয়েছেন ৬ নম্বরে।

প্রথমে রয়েছেন অ্যামাজনের জেফ বেজোস। তার সম্পদের পরিমাণ ৭০ বিলিয়ন কমে ১১৮ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। এরপরেই রয়েছেন এলন মাস্ক। তিন প্রায় ৪৮ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ হারিয়েছেন।

গৌতম আদানির সম্পদ ২৮ বিলিয়ন ডলার কমে ৫৩ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। ৪১ জন ভারতীয় ধনকুবেরের সম্পদ গত বছরের তুলনায় কমপক্ষে ১ বিলিয়ন ডলার কমেছে। ভারতীয়দের মধ্যে সব থেকে বেশি সম্পদ হারিয়েছেন গৌতম আদানি। ভারতে কমেছে ধনকুবেরের সংখ্যা ভারতে ধনকুবেরের সংখ্যা ২৮ কমেছে। শুধু ভারতেই নয়, সারা বিশ্বে গত এক বছরে প্রতি সপ্তাহে ৫ জন করে ধনকুবেরের সংখ্যা কমেছে।

বর্তমানে ভারতে ধনকুবেরের সংখ্যা ১৮৭ জন। ধনকুবেরের সংখ্যার নিরিখের চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও সবার আগে রয়েছে। দুই দেশের ধনকুবেরে সংখ্যা সারা বিশ্বের ৫৩ শতাংশ। শীর্ষে থাকা ১০ ভারতীয় ধনকুবেরের মধ্যে ১ জনের সম্পদ বেড়েছে।

হুরুন গ্লোবালের ধনীদের তালিকা অনুযায়ী শীর্ষে থাকা ১০ ভারতীয় ধনকুবেরের মধ্যে নয়জন তাদের সম্পদ হারিয়েছেন। শুধুমাত্র সেরাম ইনস্টিটিউটের সাইরাস পুনাওয়ালার সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে গত ১ বছরে।

এক নজরে ভারতীয় ধনকুবেররা

ভারতের ১৮৭ জন ধনকুবেরের মধ্যে ৫ জন সারা বিশ্বের ১০০ জনের মধ্যে রয়েছেন। ৩০ জন থাকেন বিদেশে। তালিকায় ১৫ জন নতুন মুখ। এছাড়াও এই তালিকায় ১০ জন নারী রয়েছেন। গত ৫ বছরে ভারতীয় ধনকুবেররা তাদের সম্পদের সঙ্গে ৩৬১ বিলিয়ন ডলার যুক্ত করেছেন। যা হংকংয়ের জিডিপির সমান।

অন্যদিকে সারা দেশের মধ্যে মুম্বাইয়ে থাকেন ৬৬ জন ধনকুবের। দিল্লিতে থাকেন ৩৯ জন আর বেঙ্গালুরুতে থাকেন ২১ জন। ভারতীয় ধনকুবেরদের মধ্যে বেশি সংখ্যায় রয়েছেন স্বাস্থ্যসেবায় যুক্তরা। তারপরেই রয়েছে ভোগ্যপণ্য এবং রাসায়নিক। স্বাস্থ্যসেবায় যুক্ত ভারতীয় ধনকুবেরদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছেন সেরাম ইনস্টিটিউটের সাইরাস মিস্ত্রি এবং তারপরে রয়েছেন সান ফার্মাসিউটিক্যালসের দিলীপ সাংভি।

এসকেডি