অর্থ পাচারের অভিযোগে উত্তর কোরিয়ার এক নাগরিককে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রত্যর্পণ করায় কুয়ালালামপুরের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে পিয়ংইয়ং। শুক্রবারের এক অনলাইন প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে জার্মান সংবামাধ্যম ডয়েচে ভেলে।

ওই নাগরিককে প্রত্যর্পণে নির্দেশ ছিল মালয়েশিয়ার আদালতের। কিন্তু এই রায়কে ‘অবাস্তব, বানানো ও চক্রান্ত’ অভিহিত করে মালয়েশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কই ছিন্ন করেছে উত্তর কোরিয়া।

উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র তাদের রাষ্ট্রের শত্রু। এটা ওয়াশিংটনের চক্রান্ত। মালয়েশিয়া বিশাল শত্রুতাপূর্ণ কাজ করেছে। ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে সিঙ্গাপুরে বৈধভাবে ব্যবসা করছিলেন। মালয়েশিয়ার এমন সিদ্ধান্তের জন্য সম্পর্ক ছিন্ন করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রকে এর জন্য উচিত মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ার করেছে পিয়ংইয়ং। তবে মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে অবশ্য এখনো এই নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

মালয়েশিয়ার শীর্ষ আদালত এর আগে জানিয়েছিল, উত্তর কোরিয়ার নাগরিক মুন চল মিয়ংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের নেপথ্যে কোনো রাজনীতি নেই। তাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়া যেতে পারে।

মালয়েশিয়ার সরকার অবশ্য আগেই যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে মুনকে ওয়াশিংটনের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু মুন সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে গেলে আদালতের পক্ষ থেকে এমন রায় দেওয়া হয়।  

এই ঘটনাটা এমন এক সময়ে ঘটেছে, যখন পরমাণু অস্ত্র নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে বিরোধ চরমে। যুক্তরাষ্ট্র চাচ্ছে, উত্তর কোরিয়া যেন পরমাণু অস্ত্র না বানায়, এই বিষয়ে তাদের পরিকল্পনা বাতিল করে। এই নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন জানিয়েছেন, বাইডেন প্রশাসন এবার উত্তর কোরিয়া নীতির পর্যালোচনা করবে। মিত্রদের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে কথা বলবে ওয়াশিংটন।

এএস