মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২৯টি মোবাইল ফায়ারফাইটিং ইউনিট দান করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী শাখা ইউনাইটেড নেশন্স হাই কমিশনার ফর রেফিউজিস (ইউএনএইচসিআর)।

বুধাবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইউএনএইচসিআর। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাদের অগ্নিনিরাপত্তার জন্য ২৯টি মোবাইল ফায়ারফাইটিং ইউনিট দান করেছে ইউএনএইচসিআর।’

২০১৭ সালের আগস্টে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের আরাকান প্রদেশে বেশ কয়েকটি থানা ও সেনাছাউনিতে একযোগে বোমা বিস্ফোরণের পর ওই রাজ্যে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। সেই অভিযানে সেনাসদস্যদের ব্যাপক হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মুখে টিকতে না পেরে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয় প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা।

বর্তমানে টেকনাফের কুতুপালং এলাকায় ৩৩টি আশ্রয় শিবিরে আছেন আশ্রিত এই রোহিঙ্গারা। সরকারি হিসেবে বর্তমানে তাদের সংখ্যা ১২ লাখে পৌঁছেছে, তবে বেসরকারি বিভিন্ন পরিসংখ্যানে তাদের সংখ্যা আরও বেশি উল্লেখ করা হয়েছে।

চলতি বছর ৫ মার্চ অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয় কুতুপালংয়ের রোহিঙ্গা শিবিরগুলো। এতে ২০০টি তাঁবু সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয় এবং আশ্রয় হারান প্রায় ১৬ হাজার রোহিঙ্গা।

এই ঘটনার দু’সপ্তাহের মধ্যেই সহায়তা হিসেবে ২৯টি মোবাইল ফায়ারফাইটিং ইউনিট পাঠাল ইউএনএইচসিআর।

এর আগে ২০২১ সালের মার্চেও আগুন লেগেছিল রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে এবং সেবার ধ্বংসের মাত্রা ছিল অনেক বেশি। অন্তত ১৫ জন মারা গিয়েছিলেন সেই অগ্নিকাণ্ডে এবং আশ্রয় হারিয়েছিলেন ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা।

এসএমডব্লিউ