ভারত-চীন সীমান্তে শান্তি না ফিরলে দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়া মুশকিল বলে মনে করছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী। 

তিনি বলেছেন, ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকেই আমাদের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক স্বাভাবিক নয়। সীমান্তে শান্তি না ফিরলে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়া মুশকিল। 

বুধবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেছিলেন, জাংনান (অরুণাচল প্রদেশের চীনা নাম) চীনের ভূখণ্ডের অংশ। চীন সরকার আইন মেনেই প্রশাসনিক প্রয়োজনে কিছু নাম পরিবর্তন করেছে। এটি চীনের সার্বভৌম অধিকার।  

আরও পড়ুন : সাংবাদিকদের ভিসা নিয়ে ভারত ও চীনের মতবিরোধ

চলতি উত্তেজনার শুরু চীন ভারতের প্রতিবাদ সত্ত্বেও অরুণাচল প্রদেশের ১১টি জায়গার নাম পরিবর্তন করলে। নাম পরিবর্তনের পর ভারত এর প্রতিবাদ জানালেও সিদ্ধান্তে অনড় থাকার বার্তা দিয়েছে চীন। 

অরুণাচলকে ভারতীয় ভূখণ্ড হিসাবে কখনোই স্বীকৃতি দেয়নি চীন। তাদের দাবি, উত্তর-পূর্ব ভারতের ওই প্রদেশ অধিকৃত তিব্বতের দক্ষিণ অংশ। এর আগেও দু’বার অরুণাচলের বিভিন্ন অংশের নাম বদল করেছে চীন। ২০১৭ সালে দলাই লামার অরুণাচল সফরের পরে সে রাজ্যের ৬টি জায়গার নাম বদল করে চীনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ২০২১ সালে আরও ১৫টি জায়গায় নাম বদলের কথা জানিয়েছিল তারা। লাদাখের পাশাপাশি, গত কয়েক বছরে তাওয়াং-সহ অরুণাচলের বেশ কিছু এলাকাতেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) পেরিয়ে চীনা সেনার অনুপ্রবেশের ‘খবর’ এসেছে।  

আরও পড়ুন : ভারতের অরুণাচল প্রদেশের ১১ স্থানের নাম পাল্টাল চীন

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও বলেছিলেন সীমান্তে শান্তি না ফিরলে ভারত-চীন সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না। ভারত-চীন সম্পর্ককে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তিনটি ‘এম’-এর উত্থাপন করেন জয়শঙ্কর। তা হলো- মিউচুয়াল সেনসিটিভিটি, মিউচুয়াল রেসপেক্ট এবং মিউচুয়াল ইন্টারেস্ট।  

তিনি বলেছিলেন, আমরা এই আশা করতেই পারি যে, এশিয়ার উত্থান হতে থাকবে। সমস্ত সূচক সেই ইঙ্গিত করছে। তবে কতটা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারবে, তা নির্ভর করছে ভিতরের ক্ষতগুলো কী ভাবে মেরামত করা হচ্ছে তার ওপরে। 

এনএফ