অফিসের বাৎসরিক নৈশভোজের আসরে আয়োজন করা হয়েছিল ‘লাকি ড্র’য়ের। প্রথম পুরস্কার জিতে চীনের অন্যতম ভাগ্যবানের তকমা পেয়ে গেলেন এক সাধারণ অফিসকর্মী। স্থানীয় স্ট্রেট টাইমসে প্রকাশিত এই সংক্রান্ত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, লাকি ড্রয়ের প্রথম পুরস্কার ছিল, ৩৬৫ দিন এক টানা সবেতন ছুটি।

এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে চীনের সমাজমাধ্যমে। তা দেওয়া হয়েছে টুইটারেও। সেখানে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি হাতে একটি প্ল্যাকার্ড নিয়ে বসে আছেন চেয়ারে। তার সামনে একটি ছোট্ট মেয়ে। প্ল্যাকার্ডে ম্যান্ডারিনে লেখা, ৩৬৫ দিন সবেতন ছুটি!

প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘লাকি ড্র’য়ে প্রথম যখন ওই কর্মীর নাম ওঠে, নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারেননি তিনি। স্বভাবে লাজুক এবং মুখচোরা ওই ব্যক্তি এর পর একাধিক সহকর্মীকে প্রশ্ন করে বেড়ান, এই পুরস্কার কি সত্যিই দেওয়া হয়েছে! শেষে অনেকে মিলে তাকে বোঝান, সত্যিই এক বছরের ছুটি পেয়ে গিয়েছেন তিনি, তাও আবার সবেতন। যদিও অধস্তন এই পুরস্কার পাওয়ায় সবার মুখে হাসি ফুটলেও তার বস যে খুশি নন, তা বলাই বাহুল্য।

ওই প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, গত তিন বছর করোনার কারণে ওই সংস্থা বার্ষিক নৈশাহারের উৎসবের আয়োজন করতে পারেনি। তাই এ বার মহাধুমধাম সহকারে ‘গালা ডিনার’-এর আয়োজন। সেই উৎসবেই বাজিমাত করলেন মুখচোরা ওই কর্মী। যদিও এক বছর সবেতন ছুটির ক্ষেত্রে রয়েছে কিছু শর্তও। পুরস্কারে পাওয়া এক বছর অন্য কোনও কাজ করা যাবে না, যেখানে শ্রম বা বুদ্ধির বিনিময়ে মজুরি পাওয়া যায়। এমনকি কোনও রেস্তরাঁয় খাবার পরিবেশনকারীর কাজও করা যাবে না।

এই খবর ভাইরাল হওয়ার পরেই গোটা চীনের কর্মীরা হিংসায় জ্বলেপুড়ে মরছেন। তাদের সবার একটাই প্রশ্ন, এক বছর বাদে যখন কর্মী নিজের দপ্তরে ফিরবেন, তখন অন্য কাউকে দেখবেন না তো সেই চেয়ারে! কর্তৃপক্ষ অবশ্য নিশ্চিত করেছে, চাকরি যাওয়ার প্রশ্নই নেই। সব মিলিয়ে রাতারাতি প্রচারের সমস্ত আলো শুষে নিলেন অফিসের সেই মুখচোরা কর্মীটিই।

এসএম