ভারতীয় পুলিশ

ভারতের জয়পুরে সাংবাদিক বান্ধবীকে হয়রানির সময় বাধা দেওয়ায় অভিষেক সনি (২৭) নামের আরেক সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। তারা ‍দুটি ভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের সংবাদকর্মী।

গত ০৮ ডিসেম্বর একটি খাবার দোকানের পাশে অভিষেককে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে অভিযুক্তরা। পরে এসএমএস হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় জড়িত তিনজনের মধ্যে একজনকে আটক করতে পেরেছে পুলিশ। বাকি দুজন পলাতক রয়েছে।

ভারতের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করেছে।

প্রকাশিত খবরে বলা হয়, গত ৮ ডিসেম্বর রাতে সাংবাদিক অভিষেক বান্ধবীসহ একটি স্থানীয় খাবার দোকানে খেতে যান। এসময় কয়েকজন পুরুষ ওই নারী সাংবাদিককে হয়রানি করা শুরু করেন। অভিষেক এতে বাধা দিলে তাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করা হয়। আহত অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকলেও প্রথমে পথচারীরা তাকে সাহায্য করেননি। পরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে এসএমএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গত কয়েকদিন সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

ঘটনার পর পুলিশ ওই নারী সাংবাদিকের জবানবন্দি গ্রহণ করে। আইপিসি’র ৩২৩, ৩৪১, ৩৫৪ ও ৩০৭ ধারায় একটি মামলা দায়ের হয়। অভিষেকের মৃত্যুর পর প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে ৩০২ ধারা (হত্যা) যুক্ত করা হয়েছে।

পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) অজয় পাল লম্বা বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অভিযুক্ত তিনজনকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে শঙ্কর চৌধুরী নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কানারাম জৎ ও সুরেন্দ্র জৎ নামের অপর দুজন পলাতক। তাদের ধরতে একটি দল গঠন করা হয়েছে।

নিহত অভিষেকের পরিবার মামলা তদন্তে পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। তারা একটি পৃথক এইআইআরের দাবি জানিয়েছেন।

রাজস্থানের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর সাম্প্রতিক হামলার ঘটনা সামনে এনে তাদের রক্ষার দাবি তুলেছে।

রাজস্থান বিজেপির প্রধান সতেশ পুনিয়া বলেন, অশোক গেহলটের বিগত দুই বছরের শাসনে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ধ্বংস হয়েছে। গণতন্ত্রের রক্ষী এবং করোনা যোদ্ধা সাংবাদিকরাও এখানে নিরাপদ নয়। অভিষেকের মৃত্যু সরকারের সর্বোচ্চ অসংবেদনশীলতা।

এসআরএস