মাকে যথাযথ সম্মান ও ভালোবাসা প্রদর্শনই মূলত মা দিবসের মূল উদ্দেশ্য। যদিও মায়ের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা প্রদর্শনের আলাদা কোনো দিন হয় না। বলা যায় প্রত্যেক মানুষের কাছে প্রতিটি দিনই মা দিবস।

তবে বিশ্ব মা দিবসে মায়েদের জন্য বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ব্যস্ততার জন্য যা অন্য কোনো দিনে হয়ে ওঠে না।

মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্ব মা দিবস পালন করা হয়। সেই হিসাবে বিশ্ব মা দিবস আজ (১৪ মে)। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে।

আজ সকাল থেকেই যার যার মাকে ভালোবাসা জানাচ্ছেন অনেক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী। মায়ের সঙ্গে ছবি আপলোড করে নিজের ভালোবাসা ও অভিব্যক্তি প্রকাশ করছেন অনেকে।

কিন্তু হয়তো অনেকেই জানেন না যে, কীভাবে এলো এই বিশ্ব মা দিবস! আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো থেকে তথ্য থেকে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের আনা জার্ভিস ও তার মেয়ে আনা মারিয়া রিভস জার্ভিসের উদ্যোগে প্রথম মা দিবস পালিত হয়।

আনা জার্ভিস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর ও ওহাইওর মাঝামাঝি ওয়েবস্টার জংশন এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। সারাজীবন অনাথদের সেবায় জীবন ব্যয় করেছেন তার মা অ্যান মেরি রিভস জার্ভিস। ১৯০৫ সালে মারা যান মেরি। অনাথদের জন্য মেরি জার্ভিসের এই নিঃস্বার্থ জীবন উৎসর্গের কথা অজানাই থেকে যায়।
 
লোকচক্ষুর অগোচরে কাজ করা মেরিকে সম্মান দিতে উদ্যোগ নেন তার মেয়ে আনা জার্ভিস। সেই লক্ষ্যে মেরি জার্ভিসের মতো দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সব মাকে স্বীকৃতি দিতে প্রচার শুরু করেন আনা জার্ভিস।

তার সাত বছরের চেষ্টায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মা দিবস রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়। ১৯১১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি রাজ্যে মা দিবস পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

১৯১৪ সালের ৮ মে মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে মার্কিন কংগ্রেস। তবে দিবসটির বাণিজ্যিকীকরণের বিরোধিতা করে আসছিলেন তিনি মা দিবসের প্রবক্তা আনা জার্ভিস।  

তিনি বলেছিলেন, মাকে কার্ড দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর মানে নিজ হাতে তার জন্য দুই কলম লেখার সময় না হওয়া। চকলেট উপহার দেওয়ার অর্থ হলো- তা নিজেই খেয়ে ফেলা। এসব না করে এই দিনটিতে মায়ের জন্য এমন কিছু করতে অনুরোধ করেন তিনি যেন তা অর্থবহ হয়ে থাকে।

কেএ