আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে বদলে গেল বিমান
আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করেছে গুয়েতেমালা। অগ্ন্যুৎপাতের পর উড়ে আসা ছাইয়ে বিমানবন্দরে থাকা বিমান ও রানওয়ে ঢেকে যাওয়ায় মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় মধ্য আমেরিকার এই দেশটি।
গুয়েতেমালার সিভিল এভিয়েশন অথোরিটির বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, প্রতিকূল বাতাস এবং বাতাসের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী সক্রিয় পাকায়া আগ্নেয়গিরি থেকে প্রচুর পরিমাণে ছাই উড়ে এসে বিমান ও রানওয়ে ছেয়ে ফেলায় রাজধানী গুয়েতেমালা সিটি’র লা অরোরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিমানবন্দরে বাড়তি কর্মী মোতায়েন করা হয়। তারা সেখানে রানওয়েসহ বিমানবন্দরের পুরো এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা আগ্নেয়গিরির ছাই ঝাড়ু দিয়ে সরিয়ে দেন।
বিজ্ঞাপন
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে বিমানবন্দর বন্ধের ঘোষণা দিয়ে দেশটির সিভিল এভিয়েশন অথোরিটি জানায়, দক্ষিণ থেকে উত্তরে বাতাসের দিক পরিবর্তন, পার্শ্ববর্তী পাকায়া আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত এবং সেখান থেকে ছাই উড়ে আসার পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সাময়িকভাবে বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে।
— Francis Argueta Aguirre (@FrancisArguetaA) March 23, 2021
দুই হাজার ৫৬৯ মিটার (প্রায় ৮ হাজার ৪২৮ ফুট) গভীর এই আগ্নেয়গিরিটি লা অরোরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রায় ৪৮ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। কয়েক সপ্তাহ আগে আগ্নেয়গিরিটি সক্রিয় হয়ে ওঠে।
গুয়েতেমালার সিভিল এভিয়েশন অথোরিটি জানিয়েছে, ‘আগ্নেয়গিরি থেকে উড়ে আসা ছাইয়ের কারণে এখন পর্যন্ত ৯টি এয়ারক্রাফট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলো ‘গ্রাউন্ডেড’ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস শহর থেকে আসা একটি বিমানকে এল সালভেদরের দিকে চলে যেতে বলা হয়েছে।’
মেক্সিকোর দক্ষিণে অবস্থিত মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়েতেমালা প্রধানত আগ্নেয়গিরির দেশ হিসেবে পরিচিত। ২০১৮ সালের জুন মাসে দেশটির ফুয়েগো আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাতের পর ছড়িয়ে পড়া লাভাস্রোতের কারণে কমপক্ষে ৬২ জন মারা গিয়েছিলেন। সেসময় কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আশপাশের আকাশ। সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছিল লাভার উত্তপ্ত ছাই।
সূত্র: সিএনএন
টিএম