সমুদ্রসীমায় চীনের শতাধিক নৌযান, যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে ফিলিপাইন
দক্ষিণ চীন সাগরে ফিলিপাইনের জলসীমার কাছাকাছি শতাধিক চীনা নৌযান প্রবেশ করায় দেশটিকে সতর্ক করতে ও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ওই এলাকায় হালকা যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে ফিলিপাইন। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ডেলফিন লোরেনজানা শনিবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছেন।
সাগরের যে এলাকায় চীনা জাহাজগুলো অবস্থান করছে, তার নাম ‘ওয়েস্টার্ন রিফ’। ওয়েস্টার্ন রিফের সংলগ্ন এলাকা থেকেই ফিলিপাইনের ২০০ নটিক্যাল মাইল এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনের সীমানা শুরু হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিতে লোরেনজানা বলেন, ‘আমাদের সার্বভৌমত্ব ও সার্বভৌম সম্পদ আমরা অবশ্যই রক্ষা করব। এ ব্যাপারে ছাড় দেওয়ার কোনো অবকাশ নেই।’
‘তবে আমরা এটা বলতে পারি, আমাদের তরফ থেকে সংঘাতে জড়ানোর ইচ্ছা নেই। সেখানকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য যুদ্ধবিমান পাঠানো হয়েছে।’
বিজ্ঞাপন
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রডরিগো দুয়ার্তের এক মুখপাত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, দেশটিতে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত হুয়াং জিলিয়ানকে ইতোমধ্যে সতর্ক করেছেন দুয়ার্তে।
চীনের রাষ্ট্রদূতকে তিনি বলেছেন, ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় অনুযায়ী দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের সীমানা নির্দিষ্ট করেছে ফিলিপাইন। এখন চীন যদি ফিলিপাইনের সমুদ্রসীমায় প্রবেশ করে সেক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী তা অবৈধ বলে গণ্য হবে এবং এ ধরনের কিছু ঘটলে ফিলিপাইন সমুচিত জবাব দেবে।
ফিলিপাইনে চীনের দূতাবাস থেকে এ বিষয়ে তাৎক্ষনিকভাবে মন্তব্য না করা হলেও পরে জানানো হয়েছে, চীনের যে নৌযানগুলো সেখানে অবস্থান করছে, সেগুলো মাছধরা নৌকা। সাগরে মাছ ধরতে এসে পথ হারিয়ে ফেলা বা রসদ ফুরিয়ে গেছে— এমন বেশ কয়েকজন ‘হতভাগ্য ব্যক্তিও’ সেই জাহাজগুলোতে আছেন।
বৈশ্বিক বাণিজ্যে ব্যাবহৃত গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম সমুদ্রপথগুলোর মধ্যে দক্ষিণ চীন সাগর অন্যতম। প্রতি বছর এই সমুদ্রপথে ৩.৪ ট্রিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়।
তবে গত কয়েক বছর ধরে চীন এই সমুদ্রপথ দখলের পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছে এই সাগরের তীরবর্তী দেশগুলো। এই তালিকায় রয়েছে ব্রুনাই, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম ও জাপান।
সূত্র: রয়টার্স
এসএমডব্লিউ