মিয়ানমারে গতকাল শনিবার রক্তক্ষয়ী দিনে শতাধিক মানুষ নিহত হওয়ার পরদিন রোববার নিহত এক বিক্ষোভকারীর শেষকৃত্যে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ফের গুলি করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

তবে রোববার দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত ইয়াঙ্গুনের অদূরে অবস্থিত ছোট শহর বাগোতে শনিবার গুলিতে নিহত ওই বিক্ষোভকারীর শেষকৃত্যে কেউ নিহত হয়েছে কিনা তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। 

আয়ে নামে এক নারী রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমরা যখন তার জন্য বিপ্লবী গান গাচ্ছিলাম তখন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হয় এবং আমাদের লক্ষ্য করে সরাসরি গুলি চালাতে শুরু করে। তারা গুলি চালাতে শুরু করলে আমরা ছাড়াও শেষকৃত্যে অংশ নেওয়া অন্যান্য মানুষজন দ্বিগ্বিদিক ছুটতে থাকে।’  

মিয়ানমারের ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবসে’ গতকাল শনিবার সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে দেশজুড়ে একদিনে যে ১১৪ জন নিহত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে একজন ছিলেন ২০ বছর বয়সী থায়ে মাউং মাউং নামের এক শিক্ষার্থী। রোববার তার শেষকৃত্যেই নিরাপত্তা বাহিনী আবারও গুলি করেছে।  

তবে রোববার পৃথক দুই স্থানে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে আরও দুই বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানিয়েছে রয়টার্স। মিয়ানমার নাউয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী রাজধানী নেপিদোতে একদল বিক্ষোভকারীকে লক্ষ্য করে সেনারা গুলি করলে এর মধ্যে একজন নিহত হন।

রোববার এখনও অবধি ইয়াঙ্গুনে বা মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে বড় আকারের বিক্ষোভের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। শনিবার এই দুই শহরে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছিল। গতদিন নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিত নিহত সেসব বিক্ষোভকারীর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হচ্ছে অনেক স্থানে।

এএস