যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় আইএসআইএল (আইএসআইএস) গোষ্ঠীর এক নেতা নিহত হয়েছেন। নিহত ওই নেতার নাম ওসামা আল-মুহাজের। সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ড্রোন হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী।

রোববার (৯ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার চালানো ওই হামলার ফলে ওসামা আল-মুহাজেরের মৃত্যু হয় বলে রোববার মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

আইএসআইএল সশস্ত্র গোষ্ঠীর সংক্ষিপ্ত রূপ উল্লেখ করে ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের (সেন্টকম) প্রধান জেনারেল মাইকেল কুরিলা বলেছেন, ‘আমরা এটা স্পষ্ট করেছি, সমগ্র অঞ্চলে আইএসআইএসের পরাজয়ের জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আইএসআইএস শুধুমাত্র এই অঞ্চলের জন্যই নয়, এই অঞ্চলের বাইরেও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

সেন্টকম-এর মতে, অভিযানে কোনো বেসামরিক লোক নিহত হয়নি। তবে ‘বেসামরিক আহত হওয়ার খবর খতিয়ে দেখছে’ জোট বাহিনী।

এছাড়া আইএসআইএসের বিরুদ্ধে হামলায় ব্যবহৃত ড্রোনগুলো একইদিন রুশ যুদ্ধবিমানের হয়রানি শিকার হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছে মার্কিন বাহিনী। মূলত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের প্রধান মিত্র হিসেবে দেশটিতে অবস্থান করছে রাশিয়া।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে উত্থানের পর সিরিয়া ও ইরাকের বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করে নিজেদের রাজ্য ‘খিলাফত’ প্রতিষ্ঠা করে আইএস; কিন্তু তিন বছরের মধ্যে ২০১৭ সালে সিরিয়া অংশে নিজেদের অধিকৃত অধিকাংশ এলাকা হারায় এ সন্ত্রাসীগোষ্ঠী। এর দু’বছর পর অর্থাৎ ২০১৯ সালে ইরাকের অধিকৃত অঞ্চলগুলোও তাদের হাতছাড়া হয়ে যায়।

কিন্তু এই গোষ্ঠীর গোপন হামলাকারী দল বা ‘স্লিপার সেল’ এখনও সক্রিয় আছে এবং সিরিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে প্রায়ই তারা বোমা হামলা ও নাশকতা করে থাকে বলে ধারণা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের।

আল জাজিরা বলছে, ২০১৯ সালে সিরিয়ায় পরাজিত হওয়া আইএসআইএল-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১০০০ সৈন্য সিরিয়ায় মোতায়েন রয়েছে।

অবশ্য পরাজিত হলেও এখনও প্রত্যন্ত মরুভূমি অঞ্চলে গোপন আস্তানা বজায় রেখে ঘন ঘন আক্রমণ পরিচালনা করে আইএস।

টিএম