ঘূর্ণিঝড়-ভূমিধসে ইন্দোনেশিয়া-পূর্ব তিমুরে নিহত ৩১
ইন্দোনেশিয়া ও তার সীমান্তবর্তী প্রতিবেশী দেশ পূর্ব তিমুরে প্রবল বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসে ৩১ জন নিহত , ৯ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরো ৫ জন। জাভা সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এ দুর্যোগ দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া অধিদফতর।
শনিবার মধ্যরাতের পর থেকে শুরু হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব। ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় দ্বীপ ফ্লোরেস এবং আদোনারা পড়েছে এই দুর্যোাগের কবলে। রোববার দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বিএনপিবির মুখপাত্র রাদিত্য জাতি বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘ফ্লোরেস দ্বীপের লামানেলে গ্রামে ২৩ জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে, ৫ জন নিখোঁজ আছেন। ওই গ্রামে বসবাসকারী ৪৯টি পরিবারের সবগুলোই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্রামের বাড়িগুলো জলোচ্ছ্বাসের পানি ও কাদায় ডুবে গেছে।’
বিজ্ঞাপন
লামানেলের অধিবাসীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনতে উদ্ধারকর্মীরা কাজ করছে বলে জানিয়েছেন রাদিত্য। আদোরানা দ্বীপে নিহত বা আহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
‘প্রবল বৃষ্টি, ঝড়ো বাতাস ও ঢেউয়ের কারণে আদোরানায় একটি সেতু ভেঙে পড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সেখান থেকে নিহত-আহত বা নিখোঁজের সংবাদ পাওয়া যায়নি।’
বিজ্ঞাপন
এদিকে, ইন্দোনেশিয়ার প্রতিবেশী দেশ পূর্ব তিমুরের রাজধানী দিলির পার্শ্ববর্তী একটি এলাকায় বৈরী আবহাওয়া ও ভূমিধসে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদসংস্থা তাতোলি। দেশটির নাগরিক সুরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী জোয়াকুইম গুসমাও জানিয়েছেন ইতোমধ্যে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছেন দেশটির দমকল কর্মীরা।
রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘উদ্ধার তৎপরতায় বয়স্ক ব্যক্তি, শিশু ও গর্ভবতী মহিলাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।’ মন্ত্রী জোয়াকুইম গুসমাও বলেন, ইতোমধ্যে দেশের প্রেসিডেন্টের বাসভবনে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে দেশের অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে।
তবে খুব দ্রুত এই দুর্যোগ কাটার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া অধিদফতর। রোববার সর্বশেষ বুলেটিনে অধিদফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য নুসা টেংগারা ও পূর্ব তিমুরের উত্তর উপকূলীয় এলাকায় সৃষ্ট মৌসুমী ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এই দুর্যোগ দেখা দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কখন ওই এলাকা থেকে সরবে, তা এখন বলা যাচ্ছে না।’
‘ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হওয়ার কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। এ কারণে উপদ্রুত এলাকার অধিবাসীদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন ও দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।’
সূত্র: রয়টার্স।
এসএমডব্লিউ