সুদানে গণতন্ত্র বিরোধীদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন (ফাইল ছবি)
উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে ক্ষমতাচ্যুত এক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও দেশটির দুটি কোম্পানির বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মূলত দেশে অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখা ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত দুটি কোম্পানির একটি আবার রাশিয়া-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: নাগরিকদের অস্ত্র হাতে নেওয়ার আহ্বান সুদানে
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বৃহস্পতিবার সুদানের একজন ক্ষমতাচ্যুত রাজনীতিবিদ এবং দুটি কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে উত্তর আফ্রিকার এই দেশটিতে অস্থিতিশীলতা আরও তীব্র করা এবং গণতন্ত্রের বিরোধিতা করার অভিযোগ এনেছে ওয়াশিংটন।
বিজ্ঞাপন
ভয়েস অব আমেরিকা বলছে, সুদানের সেনাবাহিনী দেশটির আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে (আরএসএফ) ভেঙে দেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টার পর গত এপ্রিল মাসে দেশটিতে যুদ্ধ শুরু হয়। আর এরপর থেকে জঙ্গিদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য এটিই ওয়াশিংটনের সর্বসাম্প্রতিক প্রচেষ্টা।
আরএসএফ হচ্ছে সাবেক সুদানি নেতা ওমর আল-বশিরের অনুগত একটি আধাসামরিক সংগঠন। চার বছর আগে এক গণবিদ্রোহের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ওমর আল-বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে আরও এক দেশে ভিসা বিধিনিষেধ যুক্তরাষ্ট্রের
বৃহস্পতিবারের ঘোষণায়, সুদানের এক সময়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী কারতিকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। ওমর আল-বশির ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সাবেক এই সুদানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুদানিজ ইসলামিক মুভমেন্টের সেক্রেটারি জেনারেলের পদে উন্নীত হন।
চরমপন্থি এই সংগঠনটি উত্তর আফ্রিকার এই দেশটির গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এছাড়া ওমর আল-বশিরের দলের মধ্যে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারতি ছিলেন একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। আর ২০২১ সালে আরএসএফ সংশ্লিষ্ট সামরিক অভ্যুত্থানের পর কারতির ইসলামি দল তাদের কিছু ক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়।
এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন সুদানভিত্তিক জিএসকে অ্যাডভান্স কোম্পানি এবং রাশিয়ার অস্ত্র সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাভিয়াট্রেড’র ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, আরএসএফ-কে সামরিক ড্রোন ও প্রশিক্ষণ দিতে জিএসকেকে সাহায্য করছে অ্যাভিয়াট্রেড।
আরও পড়ুন: সুদানে আঞ্চলিক গভর্নরকে হত্যা করল আধাসামরিক বাহিনী
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের সন্ত্রাসবাদ এবং আর্থিক গোয়েন্দা বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান নেলসন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ব্যক্তিগত লাভের জন্য যারা সুদানের চলমান এই দ্বন্দ্ব-সংঘাতকে অব্যাহত রাখার জন্য কাজ করছে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কাজ অব্যাহত রাখব।’
টিএম