ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন চলছে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই আর উত্তেজনায় ভরপুর এই নির্বাচনের মধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে শো-কজ নোটিশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে বারবার শো-কজ করে বা কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে কোনো লাভ হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন মমতা। তার দাবি, ১০ বার শো-কজ করলেও তার জবাব হবে একই রকম।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন, এই অভিযোগ তুলে গত বুধবার মমতাকে শো-কজ নোটিশ পাঠায় কমিশন। হুগলির তারকেশ্বরে গত ৩ এপ্রিল মমতার মন্তব্যে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে বলে কমিশন ওই চিঠিতে জানিয়েছিল। তবে বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) কমিশনের বিরুদ্ধে পাল্টা পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগ তুলেছেন মমতা।

বৃহস্পতিবার হাওড়ায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনী জনসভায় মমতা বলেন, ‘আমাকে ১০ বার শো-কজ করেও লাভ নেই। একই জবাব দেব।’ কমিশনের অভিযোগ প্রসঙ্গে মমতা পাল্টা প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘নন্দীগ্রামে মুসলিমদের যারা পাকিস্তানি বলেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে ক’টা অভিযোগ হয়েছে? কেবল তৃণমূলের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ?’

বুধবারের নোটিশে মমতাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলেছিল নির্বাচন কমিশন। না হলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার মমতা পাল্টা হুঁশিয়ারিই দিয়েছেন কমিশনকে। তবে নোটিশের জবাব দিয়েছেন কি না তা জানা যায়নি।

গত ৩ এপ্রিল তারকেশ্বরের সভা থেকে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর আব্বাস সিদ্দিকির নাম না করে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে মমতা বলেছিলেন, ‘সংখ্যালঘু ভোট ভাগ হতে দেবেন না। বিজেপি এলে মনে রাখবেন সমূহ বিপদ, সবচেয়ে বেশি আপনাদের।’

নির্বাচন কমিশনের দাবি, ধর্ম বা বর্ণের ভিত্তিতে ভোট চাওয়া নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন। কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলে জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী তার প্রার্থিতা বাতিলও করা হতে পারে। এরপরই ওই নোটিশ পাঠায় কমিশন।

তবে দমে যাওয়ার পাত্র নন মমতা। বৃহস্পতিবারও বিজেপি’কে আক্রমণ করেছেন অত্যন্ত কঠোর ভাষায়। মমতা বলেন, ‘সব হোটেলে ভর্তি ভর্তি টাকা নিয়ে এসেছে বিজেপি। টাকা দিয়ে ভোট কিনে নিচ্ছে। বিজেপি’র টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে অনেক গাদ্দার।’

টিএম