করোনাভাইরাস মহামারিতে বিপর্যস্ত সারা বিশ্ব। মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় বিশ্বের অনেক দেশকেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। বেশিরভাগ দেশেই গত এক বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও কিছু কিছু দেশ আবার মহামারির মধ্যে সীমিত পরিসরে শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু এতেও যেন শিক্ষার্থীদের অনাগ্রহ।

করোনা মহামারির কারণে প্রতিদিন হয়তো ক্লাস হচ্ছে না; তাতে কী! স্কুল ফাঁকি দিতে তিন শিক্ষার্থী ভুয়া করোনা পজেটিভ ক্ষুদেবার্তা তৈরি করে। ফলে স্কুলের সব শিক্ষার্থীকে আইসোলেশনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, পরে জানা গেল সেই বার্তা ছিল ভুয়া।

এমনই এক ঘটনা ঘটেছে সুইজারল্যান্ডের বাসেল শহরে। সেখানকার এক উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী নিজেদের করোনা পজেটিভ প্রমাণ করতে ভুয়া ক্ষুদেবার্তা তৈরি করে। এধরনের ক্ষুদেবার্তা বা এসএমএস সাধারণত দেশটির কোভিড-১৯ কন্টাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ থেকে পাঠানো হয়।

সেই ক্ষুদেবার্তার কারণে ওই তিন শিক্ষার্থীর ২৫ সহপাঠীকেও বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় আইসোলেশনে থাকতে। শুধু তাই নয়, শিক্ষকদের মধ্যে যারা তাদের পাঠদান করেছিলেন, তাদেরকেও বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বলা হয় আইসোলেশনে নিরাপদে থাকতে।

তবে ঘটনাটি ওই তিন শিক্ষার্থী নিছক ছুটি কাটাতে বা মজা করতে করলেও তা আর এই পর্যায়ে নেই। বিষয়টি ভুয়া প্রমাণিত হওয়ার পর বেজায় চটেছে বাসেল শিক্ষা কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তারা।

স্কুল কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলেও আপাতত স্কুল থেকে তাদের বহিষ্কার করা হবে না।

টিএম