সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমে জড়িত থাকার দায়ে মুসলিম ব্রাদারহুডের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান মাহমুদ ইজাতকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন মিসরের একটি আদালত। দেশটির সরকারি সংবাদপত্র আল-আরহাম এই খবর জানিয়েছে।

পত্রিকাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে সেনাবাহিনী ক্ষমতাচ্যুত করার পর ৭৬ বছর বয়সী ইজাত দেশের জনগণকে সহিংস হওয়ার জন্য উস্কানি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।

ইজাত দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে ধারণা থাকলেও পুলিশ গত আগস্টে কায়রো থেকে তাকে গ্রেফতার করে। তার বাসভবন থেকে ‌‘এনক্রিপ্টেড মেসেজ’ পাওয়ার কথাও জানিয়েছিল পুলিশ। বার্তাগুলো তিনি দেশ-বিদেশে ব্রাদারহুডের সদস্যদের পাঠিয়েছিলেন।

কী অভিযোগ?

ইজাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ব্রাদারহুড সদস্য ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘাতের সময় তার সংগঠনের সদস্যদের হাতে অস্ত্র তুলে নিতে বলেছিলেন। ২০১৫ সালে সাবেক প্রসিকিউটর জেনারেলের হত্যার ক্ষেত্রেও তার ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। 

মিসরের সাবেক প্রসিকিউটর জেনারেল ছিলেন মুসলিম ব্রাদারহুড আন্দোলনের বিরোধী।

ইজাতের আইনজীবীরা অবশ্য রায় সম্পর্কে কিছু বলেননি। তবে ব্রাদারহুড আগে জানিয়েছিল, ইজাতের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। এর আগে ২০১৫ সালে তার অনুপস্থিতিতে আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। তাকে গ্রেফতারের পর আবার শুরু হয় বিচার।

২০১৩ থেকে গ্রেফতার হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি ছিলেন মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রধান।

ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে সরকার

২০১৪ সাল থেকে সেনাপ্রধান আব্দেল ফাত্তাহ এল-সিসি মিশরের প্রেসিডেন্ট। তিনি নানাভাবে মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রভাব কমানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ২০১৩ সালে কায়রোতে মুরসি ও ব্রাদারহুড সমর্থকদের বিক্ষোভের সময় সেনাবাহিনীর গুলিতে শত শত মানুষ প্রাণ হারান।

এছাড়া, সাম্প্রতিক সময়ে সেনাশাসিত মিসরের বিচারকরা কয়েকশ মুসলিম ব্রাদারহুড নেতাকর্মীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।

এএস/জেএস