আয়রন ডোমের চেয়ে কতটা শক্তিশালী ইসরায়েলি আয়রন বিম?
পূর্ব-পশ্চিম দুই ফ্রন্টেই ইসরায়েলকে ঘায়েল করার চেষ্টা করছে ফিলিস্তিনিরা। মাঝে মধ্যেই রকেট হামলা করছে হামাস। ছোড়া হচ্ছে মর্টার শেলও। পাল্টা জবাব দিচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। ফিলিস্তিনিদের প্রতিহত করতে এবার অত্যাধুনিক লেজার অস্ত্র নামাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
পশ্চিম সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দুই রণাঙ্গণেই ‘আয়রন বিম’ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ। হামাসের রকেট ধ্বংস করতে ব্যবহার করা হবে অদৃশ্য অস্ত্র। যা যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বহুল আলোচিত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ‘আয়রন ডোম’ ব্যর্থ হওয়াতেই কি এই সিদ্ধান্ত?
বিজ্ঞাপন
ইসরায়েলের তৈরি আয়রন বিম একটি লেজার অস্ত্র। তবে অন্য অস্ত্রের মতো এটি কোনো গোলা, বোমা বা রকেট ছুড়তে পারে না। তার পরিবর্তে এর থেকে বের হয় লেজার রশ্মি। যা দিয়ে হামলা চালিয়ে চোখের নিমেষে ধ্বংস করা হয় শত্রুর ছোড়া মিসাইস বা রকেট। এছাড়া ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া গাড়ি ওড়াতেও ব্যবহার করা যায় এই অস্ত্র।
গত বছর আয়রন বিমের সফল পরীক্ষা চালায় আইডিএফ। ২০২৫ নাগাদ পুরোপুরিভাবে এই অস্ত্র ইসরায়েলি সেনা বাহিনীতে অন্তর্ভুক্তির কথা ছিল। কিন্তু যুদ্ধ শুরু হওয়ায় দুই বছর আগেই তা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকার।
বিজ্ঞাপন
এতদিন হামাসের রকেট হামলা ব্যর্থ করতে আয়রন ডোম এয়ার ডিফেন্স সিস্টমের ওপর নির্ভরশীল ছিল ইসরায়েল। মাঝ আকাশেই জঙ্গিদের ছোড়া রকেট ধ্বংস করত এটি।
আয়রন ডোমের মতোই শত্রুর অস্ত্র নষ্ট করতে পারলেও আয়রন বিম মোটেই একই রকমের অস্ত্র নয়। দুটির মধ্যে বেশ কিছু মিল ও অমিল রয়েছে। দুটি অস্ত্রেই রয়েছে উন্নত রাডার। যা জঙ্গিদের রকেট বা মিসাইলকে চিহ্নিত করে। এরপর সেটি ধ্বংস করতে আয়রন ডোমের লঞ্চার থেকে ছোড়া হয় মিসাইল। যা উড়ে গিয়ে মাঝ আকাশেই ধ্বংস করে প্রতিপক্ষের রকেট।
কিন্তু আয়রন বিমের ক্ষেত্রে রকেটের পরিবর্তে ছোড়া হবে লেজার রশ্মি। যা অদৃশ্য হওয়ায় বিপাকে পড়বে শত্রুরা। একসঙ্গে অনেক রকেট ছুড়ে হামলা চালালে ব্যর্থ হতে পারে আয়রন ডোম। কিন্তু সেই সম্ভাবনা আয়রন বিমের ক্ষেত্রে নেই বলে দাবি করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
জানা গেছে, দুটি অস্ত্রই রাফাল অ্যাডভান্স ডিফেন্স নামের একটি সংস্থা তৈরি করেছে।
এসএসএইচ