টিকায় রক্ত জমাট বাঁধার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ভারত
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনার টিকা নেওয়ার পর রক্ত জমাট বাঁধার মতো কোনো ঘটনা ঘটছে কি না তা আনুষ্ঠানিকভাবে খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়োগ দেওয়া একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুইজন ব্যক্তিকে উদ্ধৃত করে ভারতের দৈনিক মিন্ট শুক্রবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদনের বিষয়টি তুলে ধরে নিজেদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বিজ্ঞাপন
ভারতে এখন দুটি কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া হচ্ছে। একটি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত এবং সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার তৈরি করোনা টিকা কোভিশিল্ড। অপরটি ভারতের জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি ভারত বায়োটেকের উদ্ভাবিত ও তৈরি টিকা কোভ্যাক্সিন।
ভারতীয় দৈনিক মিন্টকে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন দেওয়া লোকজনের মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় কি না, সামান্য হলেও এ ধরনের কোনো ঘটনা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছি আমরা।’
বুধবার ইউরোপের ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ টিকার সঙ্গে বিরল ক্ষেত্রে রক্ত জমাট বাঁধার ‘সম্ভাব্য সংযোগ’ পাওয়ার কথা জানানোর পর ভারত টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও এর কারণে রক্ত জমাট বাঁধার বিষয়টি খতিয়ে দেখার এই পদক্ষেপ নিল।
বিজ্ঞাপন
যদিও ইউরোপের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও এর কারণে তৈরি ঝুঁকির চেয়ে এই টিকার উপকারিতা অনেক বেশি বলে টিকাটির ব্যবহার চালিয়ে যাওয়ার পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে।
অবশ্য অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা নিয়ে বিরল হলেও রক্ত জমাট বাঁধার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ার কারণে ইউরোপেরসহ অনেক অঞ্চলের দেশ টিকাটির ব্যবহার স্থগিত করেছে কিংবা দিলেও তা শুধু ষাটোর্ধ্ব মানুষকে দেওয়ার পথ অবলম্বন করেছে।
দ্বিতীয় দফায় দেশে রেকর্ড সংক্রমণ দেখা দেওয়ার মুখে ভারত এখন টিকা মজুদ করার দিকে জোর দিয়েছে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৩১ হাজারের বেশি; যা এযাবৎকালে একদিনে সর্বোচ্চ।
এএস