করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মাত্রা কমানোর ক্ষেত্রে লকডাউন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। দেশটিতে তিন দফার লকডাউনের সময় করোনার সামগ্রিক চিত্র বিশ্লেষণে পাওয়া তথ্য-উপাত্তে এমন আভাষ মিলেছে। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির রেডিও ৪ টুডে অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের বড় ধরনের সংক্রমণ হ্রাসে ভূমিকা রেখেছে লকডাউন। কারণ আমরা দেখেছি যারা ভ্যাকসিন নেননি তাদের বিশাল সংখ্যক মানুষের মধ্যে সংক্রমণ কমে গেছে।

ব্রিটিশ এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ধারণা— টিকাদান কর্মসূচি দেশে ১০ হাজারের মতো মানুষের প্রাণ বাঁচিয়ে থাকতে পারে। এটি একটি চমৎকার সফলতা। তিনি বলেন, তবে চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনার সংক্রমণ ব্যাপক পরিমাণে হ্রাসে লকডাউন ছাড়া অন্য কিছুই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেনি।

ইউরোপে করোনাভাইরাসের নতুন করে উল্লম্ফনের কথা উল্লেখ করে বরিস জনসন বলেন, লকডাউন শিথিল হওয়ায় এখন অনেকে উদ্বিগ্ন যে একই ধরনের পরিস্থিতি যুক্তরাজ্যেও ঘটতে পারে।

এদিকে, মহামারি নিয়ন্ত্রণে আরোপিত লকডাউনের বিভিন্ন ধরনের বিধি-নিষেধ সোমবার থেকে শিথিল করেছে যুক্তরাজ্য। এর ফলে দেশটির অপ্রয়োজনীয় দোকানপাট, সেলুন, পাবস এবং রেস্টুরেন্ট পুনরায় খুলে যায়। তিন মাসের লকডাউন শেষে ব্রিটিশ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- সোমবার থেকে এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছে।

করোনা মহামারির কারণে আরোপিত আধুনিক শান্তিকালীন ইতিহাসের সবচেয়ে কঠোর বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের পর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, পুনরায় সবকিছু খুলে দেওয়াটা ব্যক্তি স্বাধীনতার জন্য বড় ধরনের একটি পদক্ষেপ। করোনাভাইরাস এখনো হুমকি বিবেচনায় লোকজনকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে আচরণের আহ্বান জানান তিনি।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী আগামী ১৭ মে থেকে লকডাউন শিথিলের পরবর্তী ধাপ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন। ওই সময়ে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ চালু হতে পারে বলেও প্রত্যাশা করা হচ্ছে। করোনাভাইরাস মহামারিতে যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত এক লাখ ২৭ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে; যা বিশ্বে পঞ্চম সর্বোচ্চ মৃত্যু। 

এসএস