৫০ শতাংশের বেশি ব্রিটিশের দেহে করোনার অ্যান্টিবডি: গবেষণা
গত ২৮ মার্চ শেষও হওয়া সপ্তাহে করোনার অ্যান্টিবডি পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস (ওএনএস)। এই পরীক্ষার পর তারা বলছে, ইংল্যান্ডের অর্ধেকের বেশি মানুষের করোনা অ্যান্টিবডি হয়ে গেছে। সেখানে প্রতি দু’জনের মধ্যে একজনের শরীরে এই অ্যান্টিবডি মিলেছে।
ব্রিটেনের জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের সর্বশেষ এই জরিপের সঙ্গে আগের দুই সপ্তাহের পরীক্ষার ফলে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি।
বিজ্ঞাপন
সাধারণত কেউ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠলে অথবা টিকা নিয়ে থাকলে তার দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হতে পারে। অ্যান্টিবডি হলো রক্তের নির্দিষ্ট কিছু প্রোটিন— যা দেহে সংক্রমণ শনাক্ত করে এর বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে।
ব্রিটেনের জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস বলছে, গত ২৮ মার্চ শেষ হওয়া সপ্তাহে অ্যান্টিবডি পরীক্ষায় ইংল্যান্ডে ৫৪ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষের রক্তে অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। ওয়েলসে এই সংখ্যা ৪৯ দশমিক ১ শতাংশ, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে ৫৪ দশমিক ৫ শতাংশ এবং স্কটল্যান্ডে ৪৬ শতাংশ।
তবে অঞ্চলভেদে মানুষের দেহে করোনার এই অ্যান্টিবডির হারে ভিন্নতা মিলেছে বলে জানিয়েছে ওএনএস। ইংল্যান্ডে অ্যান্টিবডি পাওয়ার সবচেয়ে বেশি হার দেখা গেছে ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসে এবং সবচেয়ে কম নর্থ ইস্টে।
বিজ্ঞাপন
করোনায় টিকার চেয়ে লকডাউন বেশি কার্যকর: বরিস জনসন
এদিকে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মাত্রা কমানোর ক্ষেত্রে লকডাউন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। দেশটিতে তিন দফার লকডাউনের সময় করোনার সামগ্রিক চিত্র বিশ্লেষণে পাওয়া তথ্য-উপাত্তে এমন আভাষ মিলেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির রেডিও ৪ টুডে অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের বড় ধরনের সংক্রমণ হ্রাসে ভূমিকা রেখেছে লকডাউন। কারণ আমরা দেখেছি যারা ভ্যাকসিন নেননি তাদের বিশাল সংখ্যক মানুষের মধ্যে সংক্রমণ কমে গেছে।
ব্রিটিশ এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ধারণা— টিকাদান কর্মসূচি দেশে ১০ হাজারের মতো মানুষের প্রাণ বাঁচিয়ে থাকতে পারে। এটি একটি চমৎকার সফলতা। তিনি বলেন, তবে চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনার সংক্রমণ ব্যাপক পরিমাণে হ্রাসে লকডাউন ছাড়া অন্য কিছুই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেনি।
করোনা মহামারির কারণে আরোপিত আধুনিক শান্তিকালীন ইতিহাসের সবচেয়ে কঠোর বিধি-নিষেধ সোমবার প্রত্যাহারের পর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, পুনরায় সবকিছু খুলে দেওয়াটা ব্যক্তি স্বাধীনতার জন্য বড় ধরনের একটি পদক্ষেপ। করোনাভাইরাস এখনো হুমকি বিবেচনায় লোকজনকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে আচরণের আহ্বান জানান তিনি।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী আগামী ১৭ মে থেকে লকডাউন শিথিলের পরবর্তী ধাপ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন। ওই সময়ে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ চালু হতে পারে বলেও প্রত্যাশা করা হচ্ছে। করোনাভাইরাস মহামারিতে যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত এক লাখ ২৭ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে; যা বিশ্বে পঞ্চম সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এসএস