ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন চলছে। টানা আট দফায় অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম চার দফা সম্পন্ন হয়েছে। তবে দেশটিতে করোনা সংক্রমণ ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় বাকি কয়েকটি দফার নির্বাচন নিয়ে শুরু হয় গুঞ্জন।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) দিনভর আলোচনার পর রাজ্যে ভোটের পূর্ব নির্ধারিত সূচি অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত বহাল রাখে ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আর এরপরই শনিবারের পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণের পর বাকি তিন দফার নির্বাচন একসঙ্গে করার দাবি জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক টুইট বার্তায় মমতা এই দাবি জানান।

টুইটে রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ৮ দফায় ভোটগ্রহণের কঠোর বিরোধিতা করেছিলাম আমরা। এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি, দেশে ব্যাপক হারে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়ছে। আর তাই ১৭ এপ্রিলের পর রাজ্যের বাকি ৩ দফার ভোট একদিনেই সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করছি। তাহলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে মানুষ কিছুটা রেহাই পাবেন।’

এর আগে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরই রাজ্যে আট দফায় নির্বাচনের সূচি নিয়ে প্রবল আপত্তি তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার টুইটেও সেই একই কথা বললেন তিনি।

বৃহস্পতিবার অন্য একটি অনুষ্ঠানে মমতা বলেন, ‘আমরা তো প্রথম থেকেই আট দফা নির্বাচনের বিরোধিতা করে আসছি। সব রাজ্যে এক পর্যায় হচ্ছে, এখানে কেন এতগুলো দফায়? করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, এই সময়ে কী এত বেশি দফায় ভোট করানোর দরকার ছিল?’

শনিবার (১৭ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চম দফার নির্বাচনে রাজ্যের ৪৫টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এরপর ২২, ২৬ ও ২৯ এপ্রিল যথাক্রমে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম দফার নির্বাচন হওয়ার কথা। শেষ তিন দফার নির্বাচন একসঙ্গে হোক, এটাই দাবি ছিল রাজ্যের বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের। এ নিয়েই বৃহস্পতিবার দিনভর ভিডিও কনফারেন্সে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন দিল্লির নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা।

দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্রের সঙ্গে কথা বলেন পর্যবেক্ষকরা। শেষপর্যন্ত তিন দফার ভোট একদিনে করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশনের দাবি, তিন দফার ভোট এক দিনে করতে যে পরিমাণ সেনা দরকার তা তাদের হাতে নেই। এরপরই সন্ধ্যায় টুইট করে বাকি তিন দফার নির্বাচন একসঙ্গে করার আবেদন জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

টিএম