সারি সারি চিতা জ্বলছে, সেই চিতার ধোঁয়া ঘন হয়ে কুণ্ডলী পাকাচ্ছে আকাশে। ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে করোনায় মৃতদের জ্বলন্ত ছবি ফুটে উঠেছে এমনই এক ভাইরাল ভিডিওচিত্রে।

লখনৌয়ের একাধিক শ্মশানে দেখা যাচ্ছে ভয়ঙ্কর চিত্র। ২৪ ঘণ্টাই মৃতদেহ দাহ হচ্ছে সেখানে। গত কয়েকদিনে শ্মশানের আগুন নিভতে দেখা যায়নি । শ্মশানের একাধিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।

গত কয়েকদিন ধরেই হু হু করে সে রাজ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করেছে মৃতের সংখ্যা। অভিযোগ উঠেছে, সরকার যা বলছে তার সঙ্গে মিলছে না বাস্তব পরিস্থিতি। সেই দাবিরই পক্ষে যেন এক প্রকট উদাহরণ হয়ে উঠেছে লখনৌর ওই ভিডিও।

তবে সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন সরকার অবশ্য অভিযোগ এড়িয়ে চলতে অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছে। টিন দিয়ে শ্মশানের চারপাশ ঢেকে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গ শ্মশানের প্রবেশপথে লিখে দেওয়া হয়েছে, ‘এখানে সবাই প্রবেশ করতে পারবেন না। কারণ এটা করোনা আক্রান্তদের এলাকা।’

রাজ্য সরকারের এমন পদক্ষেপের নিন্দায় সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্গা গান্ধী। এক টুইটবার্তায় তিনি লেখেন, ‘উত্তরপ্রদশ সরকারকে একটি অনুরোধ। সময়, লোকবল ও শক্তিক্ষয় করে এভাবে এই ট্র্যাজেডিকে লুকাতে চাওয়া নিরর্থক। মহামারির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিন। সংক্রমণ রুখে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করুন। এটাই সময়ের দাবি।’

প্রসঙ্গত, শুক্রবারই করোনা রুখতে নয়া পদক্ষেপ করেছে উত্তর প্রদেশ রাজ্য সরকার। এবার থেকে প্রতি রোববার লকডাউন থাকবে গোটা রাজ্যে। কেবল সপ্তাহান্তের লকডাউনই নয়, সেই সঙ্গে মাস্ক না পরলে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। যদি একই ব্যক্তি দ্বিতীয়বার জরিমানার মুখে পড়েন, সেক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে তাকে।

এদিকে সংখ্যা লুকোনোর অভিযোগ উঠেছে মধ্যপ্রদেশেও। সেখানেও সরকারি হিসেবে মৃত্যুর সংখ্যার সঙ্গে বাস্তব পরিস্থিতির কোনও মিল থাকছে না। অভিযোগকে পক্ষান্তরে মেনে নিয়ে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সব সময় মৃতের সংখ্যার হিসেব রাখা যাচ্ছে না। তবে পরে সব হালনাগাদ করে দেওয়া হবে।

সূত্র: এসএমডব্লিউ