ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন চলছে। টানা আট দফায় অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম চার দফা ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে রাজ্যের ৬টি জেলার ৪৫টি আসনে পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।

ভোটগ্রহণ শুরুর কিছুক্ষণ পরই মানুষকে বিপুল সংখ্যায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বাংলায় টুইট করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

নিজের ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে করা টুইটে মোদি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে আজ পঞ্চম দফার নির্বাচনে ভোটদাতাদের বিপুল পরিমাণে ভোট দেবার আহ্বান জানাই। বিশেষত প্রথম বার যারা ভোট দিচ্ছেন, তারা অবশ্যই ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।’

এবারই প্রথম নয়, এর আগের চার দফা ভোটগ্রহণের দিনও বাংলায় টুইট করে রেকর্ড সংখ্যায় ভোট দিতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।

এদিকে নরেন্দ্র মোদি টুইট করার কিছুক্ষণ পরই টুইটারে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেওয়া বার্তায় অধিক থেকে অধিকতর সংখ্যায় মানুষকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

বাংলায় করা ওই টুইটে তিনি বলেন, ‘আমি বাংলার পঞ্চম দফার নির্বাচনে সকল ভোটারদের আবেদন করছি যে, আপনারা অধিক থেকে অধিকতর সংখ্যায় ভোট দিন। আপনার একটি ভোট রাজ্যের কৃষকদের তাদের অধিকার, যুবকদের রোজগার এবং বাংলার গৌরবকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’

উল্লেখ্য, শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ৬টি জেলার ৪৫টি আসনে বিধানসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফা ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণকে ঘিরে আসনগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আগের চার দফার ভোটে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের পর শনিবারের ভোট নির্বিঘ্ন করতে তৎপর রয়েছে নির্বাচন কমিশন।

এই দফায় কালিম্পংয়ের ১টি, দার্জিলিংয়ের ৫টি এবং জলপাইগুড়ির ৭ বিধানসভা আসনের সবগুলো, উত্তর ২৪ পরগনায় ৩৩টির মধ্যে ১৬টিতে, নদিয়ায় ১৭টির মধ্যে ৮টিতে এবং পূর্ব বর্ধমানের ১৬টির মধ্যে ৮টি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে।

২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই ৪৫টি আসনের ৩২টিতে জিতেছিল তৃণমূল। সিপিএম-কংগ্রেস জোটের জয় হয় ৫ আসনে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার জয় হয় পাহাড়ের ৩ আসনে। কিন্তু লোকসভায় বিজেপির উত্থান শুরু হয় মূলত উত্তরবঙ্গে। জলপাইগুড়ি জেলায় মোট ৭ আসনের ছটিতেই জেতে বিজেপি। তৃণমূল ধরে রাখতে পেরেছিল রাজগঞ্জ।

এবার কি এই সমীকরণ বদলাবে? উত্তরটা সময়ই বলে দেবে।

টিএম