পার্লামেন্টের এক অনলাইন বৈঠকে নগ্ন অবস্থায় হাজির হয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছেন কানাডার এক আইনপ্রণেতা। জুমে বৈঠক চলাকালীন হঠাৎ ল্যাপটপের ক্যামেরা ঘুরে যাওয়ায় দেখা যায়, ওই আইনপ্রণেতা নগ্ন অবস্থায় বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। যদিও বিব্রতকর এই পরিস্থিতির জন্য সহকর্মীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।

কানাডার পার্লামেন্টের সদস্য উইলিয়াম আমোস এই বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন। লিবারেল এই এমপি বলেছেন, আমি সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক একটি ভুল করে ফেলেছি। অবশ্যই আমি এটি নিয়ে বিব্রত। গত বৃহস্পতিবার কানাডার হাউস অব কমন্সে এই ঘটনার পর এক টুইট বার্তায় ক্ষমাও চান তিনি।

উইলিয়াম আমোস বলেন, জগিং থেকে ফেরার পর অফিসের পোশাক পরার সময় আমার ল্যাপটপের ক্যামেরাটি দুর্ঘটনাক্রমে ঘুরে যায়। আমি হাউস অব কমন্সের আমার সব সহকর্মীর কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। এটি সত্যিই একটি ভুল এবং এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না।

প্রশ্নোত্তর পর্ব চলার সময় যদিও কুইবেকের এই আইনপ্রণেতা ভার্চুয়াল ওই বৈঠকে বক্তৃতা করেননি। তবে হাউস অব কমন্সের নীতিমালা অনুযায়ী নগ্ন অবস্থায় কেউই পার্লামেন্টের বৈঠকে অংশ নিতে পারেন না।

কানাডার রুলস অব অর্ডার অ্যান্ড ডেকোরাম অনুযায়ী, পার্লামেন্টের বিতর্কে অংশ নেওয়ার জন্য কোনো ধরনের পোশাক বিধি নির্ধারিত নেই। তবে বিতর্কে অংশ নেওয়া পুরুষ বক্তাদের অবশ্যই সাময়িকভাবে জ্যাকেট, শার্ট এবং টাই পরতে হবে।

আমোসের লিবারেল পার্টির নেতা ও প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে দেশটির বিরোধী দলের নেতা ক্লদ ডিবেলেফিউলে ক্যামেরার আকস্মিক ঘুরে যাওয়ার ঘটনায় ওই আইনপ্রণেতাকে সবসময় পোশাক পরে থাকা উচিত বলে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। 

এসএস