রেকর্ড পরিমাণ ক্রয়াদেশ পেয়েছে এয়ারবাস
ইউরোপের বহুজাতিক বিমান প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস ২০২৩ সালে রেকর্ড পরিমাণ ক্রয়াদেশ পেয়েছে। এরমাধ্যমে নিজেদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বোয়িংকে আবারও পেছনে ফেলেছে এ সংস্থাটি।
গত বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এয়ারবাস জানায় গত এক বছরে তারা সবমিলিয়ে ২ হাজার ৩১৯টি বিমান তৈরির ক্রয়াদেশ পেয়েছিল। বাতিলের পর সেটি দাঁড়ায় ২ হাজার ৯৪তে।
বিজ্ঞাপন
এরমাধ্যমে ২০১৩ সালে ১ হাজার ৬১৯টি ক্রয়াদেশের যে রেকর্ড তারা গড়েছিল; সেটি গত বছর ভেঙে গেছে।
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনের তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা বোয়িং গত বছর সব মিলিয়ে ১ হাজার ৪৫৬টি ক্রয়াদেশ পেয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, ক্রয়াদেশ পাওয়ার ক্ষেত্রে এয়ারবাসের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছে বোয়িং। সবমিলিয়ে অবশ্য ২০২৩ সালটি ভালোই কাটিয়েছে বোয়িং।
বিজ্ঞাপন
তবে গত শুক্রবার আলাক্সা এয়ারলাইন্সের পরিচালিত একটি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৯ বিমানের অংশ মাঝ আকাশে খুলে পড়ে যায়। এ ঘটনার পর বিব্রতকর পরিস্থিতিতে আছে মার্কিন বিমান সংস্থাটি।
বোয়িংয়ের সিইও ডেভ কালহোন বুধবার সংবাদমাধ্যম সিএনবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, মাঝ আকাশে বিমানের অংশ খুলে পড়ার যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি তাদের একটি ত্রুটি ছিল।
এ ঘটনার পর বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৯ মডেলের ১৭১টি বিমানের সবগুলো মাটিতে নামিয়ে ফেলা হয়। এছাড়া আলাক্সা এয়ারলাইন্সের কয়েকশ ফ্লাইট বাতিল হয়ে যায়।
এয়ারবাস আরও জানিয়েছে, তারা ৮৭টি গ্রাহকের কাছে ৭৩৫টি বিমান ডেলিভারি করেছে।
এয়ারবাসের কমার্সিয়াল এয়ারক্রাফটের সিইও ক্রিস্টিয়ান স্কেহার বলেছেন, ৭৩৫টি বিমানের মধ্যে ৫৭১টিই ন্যারোবডির এ৩২৯ জেটস। তবে তিনি জানিয়েছেন করোনা মহামারি পর ওয়াইডবডির শিল্পও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।
এয়ারবাসের এ কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী বিমানের চাহিদা ও আধুনিকতার কারণে তারা তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছেন।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার
এমটিআই