দিল্লির হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনের হাহাকার
দিল্লির হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। দিল্লি রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল মঙ্গলবার এক টুইটবার্তায় জানিয়েছেন, সেখানকার অনেক হাসপাতালে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা চলার মতো অক্সিজেন অবশিষ্ট আছে।
মঙ্গলবারের টুইটবার্তায় কেজরিওয়াল বলেন, ‘দিল্লির হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনের তীব্র সংকট চলছে। আমি কেন্দ্রীয় সরকারকে জরুরিভিত্তিকে অক্সিজেন পাঠানোর আহ্বান জানাচ্ছি। কিছু হাসপাতালে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা চলার মতো অক্সিজেন মজুত আছে।’
বিজ্ঞাপন
— Arvind Kejriwal (@ArvindKejriwal) April 20, 2021
পৃথক এক টুইটবার্তায় দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মনিশ সিসোদিয়া বলেন, ‘দিল্লির অনেক হাসপাতালে অক্সিজেনের জন্য হাহাকার চলছে। আমরা জানতে পেরেছি, করোনা উপদ্রুত রাজ্যগুলোতে অক্সিজেন পাঠাতে অন্যান্য রাজ্যগুলোর সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না।’
সিসোদিয়া বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে অক্সিজেন সরবরাহের ক্ষেত্রে এ ধরনের মনোভাব খুবই অনাকাঙ্খিত ও দুঃখজনক। কেন্দ্রীয় সরকারকে এ দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।’
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার দিল্লিতে কেন প্রয়োজনীয় সংখ্যাক অক্সিজেন সিলিন্ডার পাঠানো হচ্ছে না— এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা তলব করেছিলেন দিল্লি হাইকোর্ট। এর জবাবে দিল্লির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দিল্লিতে অক্সিজেন সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই এবং বিভিন্ন রাজ্যে অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে শিল্পখাতে অক্সিজেন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, সম্প্রতি দিল্লিতে অক্সিজেনের চাহিদা ১৩৩ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। সেই চাহিদা মেটাতে এখন পর্যন্ত সেখানে ৭০০ মেট্রিকটন অক্সিজেন পাঠানো হয়েছে। আদালতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ব্যাখ্যা দেওয়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে এই টুইট করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
ভারতে বর্তমানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। এই পর্যায়ে করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুতে দেশটির সবচেয়ে বিপর্যস্ত রাজ্যগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে দিল্লি। রাজ্যের স্বাস্থ্যবিভাগসূত্রে জানা গেছে, দিল্লিতে করোনা পরীক্ষা করাতে আসা প্রতি তিনজনে একজন ‘পজিটিভ’ হিসেবে শনাক্ত হচ্ছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সোমবার সপ্তাহজুড়ে লকডাউন জারি করেছে দিল্লির রাজ্য সরকার। এদিকে, সোমবারই দিল্লিতে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ৬০০ জন, মহামারি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত এটি দিল্লিতে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
এসএমডব্লিউ