যুক্তরাষ্ট্রের কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন দেশটির সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চৌভিন। এরপরই ফ্লয়েডের পরিবারের সঙ্গে সঙ্গে তিনি নিজেও ভারমুক্ত হয়েছেন বলে তাদেরকে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরের রাস্তার ওপর হাঁটু দিয়ে গলা চেপে ধরে ফ্লয়েডকে হত্যা করেন চৌভিন।

বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যায় শেতাঙ্গ ডেরেক চৌভিনকে দোষী সাব্যস্ত করে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) রায় দেন বিচারক। এরপরই আফ্রিকান-আমেরিকান ওই যুবকের পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।

ফোন কলে বাইডেন বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরাও ভারমুক্ত হয়েছি। এটা (বিচার নিশ্চিত করা) সত্যিকার অর্থেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’

এ সময় এয়ার ফোর্স ওয়ানে করে জর্জ ফ্লয়েডের পরিবারকে হোয়াইট হাউসে আনারও অঙ্গীকার করেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, একদিনের কম সময় নিয়ে ১২ সদস্যের জুরির একটি প্যানেল যুক্তরাষ্ট্র সময় মঙ্গলবার মামলাটির রায় ঘোষণা করেন। যুক্তরাষ্ট্র তথা বিশ্বের বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের ইতিহাসে এই রায় একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। 

জর্জ ফ্লয়েডের ঘাতক পুলিশ কর্মকর্তা চৌভিন

ফ্লয়েডকে হত্যায় পুলিশ কর্মকর্তা চৌভিনের বিরুদ্ধে আনা তিনটি অভিযোগই আদালতে প্রমাণ হয়েছে। ফলে চৌভিন ৪০ বছর কারাদণ্ডাদেশ পেতে পারেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। চৌভিনকে এখন জেল হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। 

গত বছরের মে মাসে সড়কে ফ্লয়েডের ঘাড়ে চৌভিনের হাঁটু গেড়ে বসে থাকার ভিডিও সাড়া বিশ্বে সমালোচনার ঝড় তুলেছিল। তখন ফ্লয়েডকে বলতে শোনা যায়, ‌‘আমি আর শ্বাস নিতে পারছি না’। এরপরই যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বজুড়ে শুরু হয় ব্যাপক বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন।

ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর তার পরিবারের করা মামলার তিনটি অভিযোগেই মঙ্গলবার মিনেসোটার হেনেপিন কাউন্টি আদালত চৌভিনকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। এই অভিযোগগুলো হলো ‘সেকেন্ড ডিগ্রি’ অনিচ্ছাকৃত খুন, ‘থার্ড ডিগ্রি’ খুন এবং নরহত্যা।

রায় ঘোষণার পর হেনেপিন কাউন্টি আদালত কক্ষ থেকে হাতকড়া পরিয়ে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকারী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত এবং বহিষ্কৃত পুলিশ কর্মকর্তা চৌভিনকে জেল হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।

সূত্র: এএফপি

টিএম